সরকারি প্রণোদনা নিয়েছেন ১০ শতাংশ উদ্যোক্তা
করোনা মহামারির নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ অব্যবহৃত রয়ে গেছে।
গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত সরকারি এই সাহায্য নিয়েছে মাত্র ৩০৪টি বা ১০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান।
বিভিন্ন খাতে সরকার ঘোষিত লাখ টাকার প্রণোদনা সংগ্রহ করতে পেরেছে ২৮ শতাংশ মাঝারি শিল্প, ৪৬ শতাংশ বৃহৎ ও ২২ শতাংশ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান।
সারাদেশে ৫০২টি প্রতিষ্ঠানের উপর জরিপ চালিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সানেম আয়োজিত ‘কোভিড ১৯ অ্যান্ড বিজনেস কনফিডেন্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে গত বছরের মে থেকে কয়েক ধাপে সরকার প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজ করে দেশের ছোট বড় শিল্প ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের জন্য।
তবে সানেমের প্রতিবেদন বলছে, ৬৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠান প্রণোদনা সংগ্রহ করতে পারেনি। যার মধ্যে ৮৬ শতাংশ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মালিক মনে করেন প্রণোদনা পেতে দীর্ঘসূত্রিতা রয়েছে। আর ৭১ শতাংশ ব্যবসায়ী মনে করেন খুব দ্রুতই দেশের ব্যবসা বাণিজ্য ঘুরে দাঁড়াবে।
আগামীতে এই প্রণোদনা প্যাকেজ সহায়তা ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে নিশ্চিত করতে হবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ও গবেষকরা। কর ব্যবস্থার পাশাপাশি ব্যক্তি কোম্পানি মূলধনের ক্ষেত্রে শর্ত কমাতে হবে বলে মনে করেন তারা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম বলেন, ‘করোনার কারণে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চলে গেছে দারিদ্র্যের সংখ্যা। ১৩ শতাংশ কর্মজীবীরা চাকরি হারিয়েছেন। ১৬ দশমিক ৪ মিলিয়ন মানুষ দরিদ্র হয়েছে নতুন করে।’
এমন অবস্থায় সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ ও নগদ অর্থ সহায়তা বিশেষভাবে সহায়ক হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
ওয়েবিনারে যুক্ত হয়ে এসএমই ফাউন্ডেশনের ফারজানা খান বলেন, ‘এসএমই ফাউন্ডেশন কোভিডের সহ উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সব সময়ই ছিল। এসএমইয়ের জন্য যে ২০ হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে সেটা গ্রান্ট হা অন্য কিছু না। সেটা হচ্ছে এসএমইরা যে ৯ পারসেন্ট সুদে লোন নিতে পারে তার বদলে তারা ৪ পারসেন্ট নিতে পারবে। বাকি ফাইভ পার্সেন্ট বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিবার্জমেন্ট করতে পারবে। এখানে জেলা মনিটরিং কমিটি করেছি। কারা পাচ্ছে, কারা পাচ্ছে না সেটা দেখছি। এখানে বোঝার ভুল ছিল, সেটা দূর হয়েছে।’
সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হানের পরিচালনায় ওয়েবিনারে অংশ নেন বিজিএমইএ'র সহ সভাপতি আরশাদ জামিল দিপু।
এসএম/জেডএইচ/এমকেএইচ