সিরামিক কারখানা সীমিত পরিসরে খোলা রাখার দাবি
সিরামিক (টেবিলওয়্যার, টাইলস ও স্যানিটারিওয়্যার) সেক্টরের বিপর্যয় রোধে কারখানাগুলো সীমিত পরিসরে চালু রাখার অনুমতির আবেদন করেছে বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপার্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমইএ)।
রোববার (১১ এপ্রিল) বিসিএমইএ-এর প্রেসিডেন্ট সিরাজুল ইসলাম মোল্লা স্বাক্ষরিত একটি আবেদনপত্র বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের নির্দেশে সিরামিক কারখানার উৎপাদন ও বিক্রয় বন্ধ থাকলে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হবে এ খাতের ব্যবসায়ীরা। যার মধ্যে গ্যাস নির্ভর এ খাতের পণ্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রাখতে ব্যবহৃত কিলন বা চুল্লি সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হয়। এটি বন্ধ করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নিতে ৪ দিন সময় লাগে এবং একবার বন্ধ হওয়ার পরে পুনরায় চালু করে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় প্রস্তুত হতে সর্বনিম্ন ৭ দিন সময়ের প্রয়োজন হয়। উৎপাদন চালু রাখা এবং একইসঙ্গে বিক্রয়ন্দ্রে খোলা রাখার সুযোগ না থাকলে আসন্ন ঈদে শ্রমিক কর্মচারিদের মজুরি ও বেতন-ভাতা প্রদানের সক্ষমতা শিল্পমালিকদের থাকবে না। একইভাবে ব্যাংক ঋণের কিস্তি যথাসময়ে পরিশোধ করাও ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানিগুলোর জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।
বিসিএমইএ বলছে, তাদের উৎপাদিত পণ্যের গুণগতমানের জন্য বিশ্বের স্বনামধন্য সিরামিক পণ্যের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে তারা সিরামিকের আউট সোর্সিং কান্ট্রি হিসাবে নিজেদের অবস্থান সৃষ্টি করতে পেরেছে। কারখানাগুলো বন্ধে রফতানি বাধাগ্রস্ত হলে আদেশ বাতিল হয়ে যাবে। ফলে উদ্যোক্তা, অর্থলগ্নিকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সর্বোপরি দেশ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে সিরামিক কারখানাগুলো খোলা রাখার সুযোগ এবং ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থিত বিক্রয়কেন্দ্রগুলো খোলা রাখার সুযোগ প্রদানের আবেদন করেছে বিসিএমইএ।
এনএইচ/এএএইচ