কঠোর বিধিনিষেধ : ব্যাংকে মধ্যম সারির গ্রাহকের উপস্থিতি বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:১৭ পিএম, ৩০ জুন ২০২১

কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে সারাদেশে সাত দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। কঠোর এই বিধিনিষেধের মধ্যে জনসাধারণ ও যান চলাচল এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। আর এর প্রস্তুতি হিসেবে নগদ টাকা কাছে রাখতে ব্যাংকগুলোতে ভিড় করছেন গ্রাহকরা।

গ্রাহকের উপস্থিতির ওপর ভর করেই বেড়েছে ব্যাংকগুলোর লেনদেন কার্যক্রম। এদিন টাকা জমা দেয়ার চেয়ে যেন গ্রাহকদের টাকা তোলার হিড়িক লেগে যায়। তবে বড় গ্রাহকের তুলনায় ছোট বা মধ্যম সারির গ্রাহকের উপস্থিতি বেশি ছিল কাউন্টারগুলোতে। এসব গ্রাহকের বাড়তি লেনদেনের চাপে সেবা দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যাংক কর্মরতদের। বুধবার (৩০ জুন) রাজধানীর মতিঝিল ব্যাংকপাড়ায় এ দৃশ্য চোখে পড়ে।

এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে কঠোর বিধিনিষেধের সময় জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী ব্যক্তি ও সংস্থা ছাড়া এবং জরুরি কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অন্যদিকে পোশাকখাত উদ্যোক্তা ও বিকেএমইএ’র একজন দায়িত্বশীল নেতা জাগো নিউজকে বলেন, ‘১ জুলাই থেকে সাত দিনের জন্য জরুরি সেবা ও উৎপাদনমুখী শিল্পকারখানা ব্যতীত বাকি সব কিছু সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। শিল্পকারখানার মালিক-কর্মকর্তা এবং শ্রমিক-কর্মচারী সবাইকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। মানুষের চলাচলও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে এই সময়ে।’

Bank-2.jpg

সোনালী ব্যাংক মতিঝিল শাখায় আসা সোলাইমান নামে এক গ্রাহক বলেন, ‘এর আগে লকডাউনের সময় সব কিছু বন্ধ থাকার কথা বললেও অনেক কিছুই খোলা ছিল। এবারও কী তেমন হবে নাকি কঠোর হবে জানি না। আবার শুনছি ব্যাংক বন্ধ থাকবে। সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে নগদ টাকা কিছু হাতে রাখতে চাই। সুস্থতা-অসুস্থতার কথাও মাথায় রাখতে হবে। এজন্য ব্যাংক থেকে শেষ দিন কিছু টাকা উঠাতে এসেছি।’

এ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘লকডাউনের আগে অধিকাংশ গ্রাহকই ব্যাংকমুখী হন। তারা এ সময়ে টাকা জমার চেয়ে উত্তোলন বেশি করেন। অন্য সব দিনের চেয়ে এখন পর্যন্ত লেনদেন বেশি হচ্ছে আজ। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর গ্রাহকের উপস্থিতি বেশি হলে কাউন্টারে চাপ থাকে বেশি, এটা স্বাভাবিক ঘটনা।’

সোনালী ব্যাংক লোকাল অফিসের ম্যানেজার (ইনচার্জ) মো. রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আজ মধ্যম সারির গ্রাহকদের উপস্থিতি বেশি। ব্যাংক হলিডে এবং লকডাউনের কারণে তারা নিজের কাছে টাকা রাখতে চাচ্ছেন এ কারণে তাদের উপস্থিতি বেশি। বিভিন্ন অবস্থা বুঝে ছোট-মধ্যম সারির গ্রাহকরা আসছেন, তারা ভাবছেন কেনাকাটা, গরু কেনা ইত্যাদির কারণে তারা আসছেন।’

ইএআর/এআরএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।