করোনাকালে ছাঁটাই হওয়া ব্যাংকারদের পুনর্বহালের দাবি
মহামারি করোনাকালীন সময়ে ছাঁটাইয়ে শিকার ব্যাংককর্মীদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত।
বুধবার (১৫ জুন) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে চাকরিচ্যুতদের পুর্নবহালের দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বলা হয়, করোনাকালীন সময়ে কর্মী ছাঁটাই না করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা থাকা সত্বেও বেশ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক তাদের অনেক কর্মীকে চাকরি থেকে অন্যায়ভাবে পদত্যাগে বাধ্য করেছেন, কিছু কর্মীকে ছাঁটাই ও করেছেন। পদত্যাগে বাধ্য ও ছাঁটাই করা কর্মকর্তাদের পুর্নবহালের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার জারি করেছে।
`কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী আবেদনের পরও ব্যাংক ছাটাইয়ে শিকার কর্মীদের চাকরিতে বহাল করছে না ব্যাংকগুলো। এ অবস্থায় কয়েক হাজার অভিজ্ঞ ব্যাংক কর্মকর্তা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। তারা দ্রুত কেন্দ্রয়ী ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে আবেদনকারী কর্মকর্তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানান।
মানববন্ধনে চাকরীচ্যুত এক ব্যাংকের কর্মকর্তা শাখায়াত বলেন, আমাকে সম্পন্ন অন্যায়ভাবে চাকরীচ্যুত করা হয়েছিল। এইচআর ডিপার্টমেন্টকে আমার অপরাধের কথা জিজ্ঞেস করলে তারা কোনো উত্তর দেয়নি। আমি আমার পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনাকালীন সময়ে কাজ করার প্রতিদান কি এটা হতে পারে।
এক নারী কর্মী জানান, কোন ধরনের অভিযোগ ছাড়াই এইচআর থেকে ডেকে নিয়ে আমাকে ছাঁটাই করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোথাও যেতে পারিনি, নতুন করে কোথাও চাকরি পাইনি। বিষয়টা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজর এলে, চাকরিতে পুর্নবহালের নির্দেশ দেয়া হয়। আমি পুর্নবহালের আবেদন করেছি এখন পর্যন্ত আমাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়নি।
মানব বন্ধনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, 'গত ২০২০ সনের মার্চে যখন বিশ্বব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়, যখন করোনার অভূতপূর্ব ভয়াল থাবায় মানুষের জীবন যখন জীবন মৃত্যুর দোলাচলে দুলছিল, ঠিক তখনই কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক কর্মী ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা উপেক্ষা করে তাদের বিভিন্ন স্তরের অনেক কর্মকর্তাকে পদত্যাগে বাধ্য করে। ধারাবাহিক ভাবে দীর্ঘদিন তা চলতে থাকে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপের কারনে চাকুরী চ্যুতির তালিকার বাকী কর্মকর্তারা চাকরীচ্যুতি থেকে রক্ষা পান। সুনির্দিষ্ট ও প্রমানিত অভিযোগ ছাড়া, অযৌক্তিক ভাবে ও আত্নপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে চাকরিচ্যুত করা হয়। পদত্যাগ করতে রাজি না হলে বিভিন্ন ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ও উর্ধতন কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। এ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে তারা পদত্যাগ করেন।
ইএআর/জেএস/জেআইএম