হাজার কোটি টাকার তহবিল

গম-ভুট্টা চাষিরা যেভাবে ঋণ পাবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৩৫ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০২২
ফাইল ছবি

গম ও ভুট্টা উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে এক হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের চালু করা এই তহবিল থেকে কীভাবে কৃষক ঋণ পাবেন তার শর্তসহ নীতিমালা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা দেওয়া হয়।

বর্তমান সংকটের কথা মাথায় রেখে কৃষি খাতকে এগিয়ে নিতে গম ও ভুট্টা চাষে এ স্কিম চালু করা হয়। যেখান থেকে সরাসরি কৃষকদের মাঝে ঋণ বিতরণ করবে দেশের ব্যাংকগুলো। বিতরণ করা ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ সুদ পরিশোধ করবে। আর কৃষকদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ সুদ আদায় করতে পারবে ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, এ স্কিমের নাম ‘গম ও ভুট্টা উৎপাদন বৃদ্ধিকল্পে বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন স্কিম’। তহবিলের পরিমাণ এক হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে এটি সরবরাহ করা হবে। স্কিমের মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত, তবে প্রয়োজনে মেয়াদ বাড়ানো যাবে।

নির্দেশনা মতে, পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ঋণ সুবিধা পেতে কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালার আওতাভুক্ত ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে হবে। চুক্তি সম্পাদনকারী ব্যাংকগুলোতে অর্থবছর ভিত্তিক চাহিদা অনুযায়ী তহবিল বরাদ্দ করা হবে। প্রয়োজনে বরাদ্দের পরিমাণ পুনঃনির্ধারণ করতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

অংশগ্রহণকারী ব্যাংকগুলো নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকপর্যায়ে ঋণ বিতরণ করবে। ঋণ বিতরণে অগ্রাধিকার দিতে হবে গম ও ভুট্টা চাষের উপযোগী অঞ্চলকে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী ভূমিহীন কৃষক (যাদের জমির পরিমাণ শূন্য দশমিক ৪৯৪ একরের কম), ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক (যাদের জমির পরিমাণ শূন্য দশমিক ৪৯৪ একর থেকে ২ দশমিক ৪৭ একর) এবং বর্গাচাষিদের এ স্কিমের আওতায় এককভাবে জামানতবিহীন (শুধুমাত্র ফসল দায়বন্ধনের বিপরীতে) সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া যাবে।

অন্যান্য কৃষকের ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই করে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ করতে পারবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো। এসব ঋণ দ্বারা কোনোভাবেই পুরাতন ঋণ সমন্বয় করা যাবে না। সিআইবি রিপোর্ট অনুযায়ী কোনো কৃষক খেলাপি হলে এ স্কিমের আওতায় ঋণ পাওয়ার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন না।

এ স্কিমের আওতায় ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্ধারিত শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ সুদে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা পাবে। কৃষক পর্যায়ে সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ। উক্ত সুদহার সব গ্রাহকের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য। গম ও ভুট্টা চাষের উৎপাদন পঞ্জিকা ও পরিশোধ সূচি অনুযায়ী কৃষক পর্যায়ে বিতরণ করা ঋণের মেয়াদ নির্ধারিত হবে। পুনঃঅর্থায়নের তারিখ হতে অনধিক আট মাসের মধ্যে আসল এবং সুদ/মুনাফা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ হারে পরিশোধ করবে অংশগ্রহণকারী ব্যাংক।

ইএআর/জেডএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।