সেপ্টেম্বরে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণের চেয়ে সুদ-আসল পরিশোধ বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৩৫ এএম, ৩১ অক্টোবর ২০২২

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়ার চেয়ে সুদ ও আসল বেশি পরিশোধ করছে সরকার। এতে চলতি বছরের সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি কমেছে। 

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী— সেপ্টেম্বরে মোট ৬ হাজার ৯৭৩ কোটি ২৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। যার মধ্যে ৭ হাজার ৪৩ কোটি ৮৬ টাকা আগের মূল টাকা ও মুনাফা বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে। মূল ও মুনাফা পরিশোধের পর সেপ্টেম্বরে এ খাতে সরকারের নিট ঋণ (ঋণাত্বক) দাঁড়িয়েছে ৭০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ এ মাসে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ঋণ নেওয়ার চেয়ে পরিশোধের পরিমাণ বেশি।

আরও পড়ুন>> সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমেছে

আর চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ২১ হাজার ৫১১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে ২১ হাজার ১৮০ কোটি ৭৮ টাকা আগের মূল টাকা ও মুনাফা বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে। মূল ও মুনাফা পরিশোধের পর তিন মাসে সরকারের নিট ঋণ দাঁড়িয়েছে ৩৩০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। গত অর্থবছরে একই সময়ে (সেপ্টেম্বর) নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৫৫৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা। হিসাব মতে, গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে আলোচিত সময়ে ২৫ শতাংশ কম ঋণ নিয়েছে সরকার।

চলতি অর্থবছরে বাজেটে ঘাটতি মেটাতে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ নেবে। গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের (জুলাই-জুন) জাতীয় সঞ্চয় স্কিমগুলোতে এক লাখ ৮ হাজার ৭০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে ৮৮ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা মূল টাকা ও মুনাফা পরিশোধ করা হয়। আর মূল ও মুনাফা পরিশোধের পর এ খাতে সরকারের নিট ঋণ ছিল ১৯ হাজার ৯১৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। যা বাজেট ঘাটতি মেটাতে লক্ষ্যমাত্রার ৬২ দশমিক ২৩ শতাংশ কম। গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে এ খাত থেকে সরকার নিট ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩২ হাজার কোটি টাকা।

এর আগে গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ৪২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল সরকার, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা। গত আগে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ছিল ৪৯ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ৪৬ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা এবং ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে সরকার ৫২ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল।

ইএআর/এমএএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।