তিন প্রতিষ্ঠানের মুনাফায় অবনতি
চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের ব্যবসায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, কনফিডেন্স সিমেন্ট ও ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের মুনাফা আগের বছরের তুলনায় কমেছে।
নিয়ম অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে প্রতি তিন মাসে তাদের ব্যবসার আয়-ব্যয়ের তথ্য প্রকাশ করতে হয়। তারই আলোকে বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এই তিন কোম্পানি আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে কোম্পানি তিনটির মুনাফায় অবনতির তথ্য উঠে এসেছে। এর মধ্যে ঢাকা ইন্স্যুরেন্স তৃতীয় প্রান্তিক এবং বাকি দুই প্রতিষ্ঠান প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ করেছে।
ঢাকা ইন্স্যুরেন্স
চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৭০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭৮ পয়সা। এ হিসাবে আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ৮ পয়সা।
তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফা কমায় নয় মাসের (জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর) হিসাবেও কোম্পানিটির মুনাফা কমেছে। চলতি বছরের বছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ২ টাকা ১০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৪৮ পয়সা।
মুনাফার পাশাপাশি কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্যও কমেছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৬৩ পয়সা, যা জুন শেষে ছিল ২৩ টাকা ১৪ পয়সা।
এদিকে অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো’র তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে শেয়ারপ্রতি অপারিটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৪৩ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ১ টাকা ৪৪ পয়সা।
কনফিডেন্স সিমেন্ট
চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১ টাকা ৬৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৩১ পয়সা। এ হিসাবে আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ৬৩ পয়সা।
মুনাফা কমলেও কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য বেড়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৭৩ টাকা ৯৫ পয়সা, যা জুন শেষে ছিল ৭২ টাকা ২৪ পয়সা।
এদিকে অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো’র তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে শেয়ারপ্রতি অপারিটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ২ টাকা ৫০ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ঋণাত্মক ৩ টাকা ৭২ পয়সা।
ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস
চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১৭ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৩ পয়সা। এ হিসাবে আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ১৬ পয়সা।
মুনাফা কমলেও কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য বেড়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ১৬ পয়সা, যা জুন শেষে ছিল ১৪ টাকা ৯৮ পয়সা।
এদিকে অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো’র তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে শেয়ারপ্রতি অপারিটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ৪১ পয়সা।
এমএএস/বিএ/এএসএম
