বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী ওয়েলসের উদ্যোক্তারা
বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নতিতে বেসরকারি খাতের অবদান বেশি বলে মনে করছে ওয়েলস। এ জন্য দেশটি বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) চেম্বারর্স ওয়েলসের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই ওয়েলসের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বর্তমানে প্রায় ২০০টি ব্রিটিশ কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যাংকিং, টেক্সটাইল, কেমিক্যাল, ওষুধ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করেছে। এছাড়া গত অর্থবছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যেখানে প্রায় ৩ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য যুক্তরাজ্যের বাজারে রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।
যুক্তরাজ্যের বাজার বাংলাদেশের জন্য তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানির গন্তব্যস্থল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের মোট রপ্তানির প্রায় ৮০ শতাংশ তৈরি পোশাক খাতের ওপর নির্ভরশীল হলেও হিমায়িত খাদ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, বাইসাইকেল এবং পাটপণ্যের চাহিদা রয়েছে ব্রিটেনে।
এলডিসি হতে বাংলাদেশের উত্তরণের পর দুদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং কম্প্রিহেনসিভ ইকোনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি।
বৈঠকে চেম্বার্স ওয়েলসে নির্বাহী চেয়ারম্যান পল স্লেভিন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে উন্নতি সাধন করেছে। বিশেষ করে অবকাঠামো খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির এ পরিবর্তনে দেশটির বেসরকারি খাতের ভূমিকা অত্যন্ত বেশি এবং ওয়েলসের বেসরকারি খাত বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে পার্টনারশিপ সম্প্রসারণে অত্যন্ত আগ্রহী।
চেম্বার্স ওয়েলসে নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাত ও মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নে ব্রিটেনের অভিজ্ঞতা রয়েছে, যা বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার পাশাপাশি বর্তমান সময়ে তথ্যপ্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজে লাগতে পারে।
ইএআর/জেডএইচ/জিকেএস