২০২৪ সালেও শেষ হচ্ছে না ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো প্রকল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২৫ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২৩
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন এনবিআর চেয়ারম্যান/ছবি: জাগো নিউজ

আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সহজ করতে ও শুল্ক ফাঁকি রোধে ২০১৯ সালে হাতে নেওয়া ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (এনএসডাব্লিউ) প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালেও শেষ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার জটিলতা, প্রশিক্ষণের অভাবে দক্ষ কর্মী তৈরি না করতে পারার কারণে এ প্রকল্পের কাজে অগ্রগতি নেই বলে জানান তিনি।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবন সভাকক্ষে ‘আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডোর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আমাদের বাধ্যবাধকতাও আছে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার। ২০২৪ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। তবে ২০২৬ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আমরা প্রস্তাব দিয়েছি।

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এনবিআর ট্যারিফ কমাতে পারতো কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শুধু গ্যাসের দাম না, সব ক্ষেত্রেই সবাই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দেখেন ট্যাক্স, কাস্টম ডিউটি। মূল্যবৃদ্ধির পেছনে ইন-এফিশিয়েন্সি অর মোর এফিশিয়েন্টলি র ম্যাটারিয়ালসের ব্যবহার হয় কি না, সিন্ডিকিশেন আছে কি না, এসব দেখা দরকার।’

ডলার সাশ্রয়ে এনবিআরের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ডলার সাশ্রয়ে অপ্রয়োজনীয় বিলাসবহুল পণ্য আমদানিকে নিরুৎসাহিত করার জন্য কাস্টম ডিউটি বাড়িয়েছি। ডিউটি বাড়ানো ছাড়াতো ডলার সাশ্রয়ে আমাদের পক্ষ থেকে কিছু করার নেই। আমদানি তো বন্ধ করতে পারবো না, ডিউটি বাড়িয়ে তাদের নিরুৎসাহিত করছি।’

‘এছাড়া আমদানি বন্ধ করে দিলে ডলার সাশ্রয় হবে। মেশিনারিজ আমদানি বন্ধ করলেও সাশ্রয় হবে। কিন্তু তাতে দেশের অর্থনীতিতে বিরাট প্রভাব পড়বে’ বলেন আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘২০২১-২২ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আহরিত মোট রাজস্বের ৮৯ হাজার ৪২৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট রাজস্বের ৪৪ হাজার ৯৫০ কোটি ৭২ লাখ টাকা বাংলাদেশ কাস্টমস থেকে এসেছে। গত অর্থবছরের তুলনায় যার প্রবৃদ্ধির হার ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস বৃহস্পতিবার। প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউসিও) সদস্যভুক্ত ১৮৩টি দেশে দিবসটি পালন করা হয়।

২০০৯ সাল থেকে ডব্লিউসিও ২৬ জানুয়ারিকে কাস্টমস দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর থেকেই বাংলাদেশও সংস্থাটির সদস্য হিসেবে দিবসটি পালন করছে। এবারের কাস্টমস দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের লালন: কাস্টমসে জ্ঞানচর্চা ও উক্ত পেশাদারিত্বের বিকাশ’।

এসএম/এএএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।