বাণিজ্যমেলা
আরএফএলের পাইপ অ্যান্ড ফিটিংসে ১৫ শতাংশ ছাড়
শেষ হতে চলেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৭তম আসর। মেলার শুরুতে জমজমাট না থাকলেও গত কয়েকদিন ধরে প্রচুর ক্রেতা-দর্শনার্থীদের কারণে জমে উঠেছে বাণিজ্যমেলায়। মেলায় এখন দর্শনার্থীর চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা চোখে পড়ার মতো। ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে মেলা উপলক্ষে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পাইন অ্যান্ড ফিটিংসের বিভিন্ন পণ্যে চলছে নানা ছাড়।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার আরএফএল প্যাভিলিয়নের পাইপ অ্যান্ড ফিটিংসের স্টলে সরেজমিনে এমনই চিত্র লক্ষ্য করা যায়।
জানা গেছে, মেলা উপলক্ষে আরএফএল পাইপ অ্যান্ড ফিটিংসের বিভিন্ন পণ্যে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় চলছে। স্টলটিতে টেবিল টপ বেসিন ৩ হাজার ৫৫০ টাকা, ওয়াল শাওয়ার ৫৬৪ টাকা, হ্যান্ড সোপ ক্যাস ১১৭ টাকা, হ্যান্ড শাওয়ার ৫৫৭ টাকা, ফ্লাশ ট্যাংক ১ হাজার ৭৮৬ টাকা, কমোড ২২ হাজার ১৪৩ টাকা, পাপশ ৩৬২ টাকা, স্পেয়ার ১ হাজাত ৫৯৪ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
পরিবার নিয়ে আসা মাজহার ইমন জানান, বাণিজ্যমেলায় এসেছি তাই প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো কেনার চেষ্টা করছি। আরএফএলের প্রত্যেকটি পণ্য খুবই মানসম্মত। তাই এখান থেকে একটি টেবিল টপ বেসিন এবং কয়েকটি পাপশ ক্রয় করলাম।
আশরাফুল আলম নামের আরেক ক্রেতা জানান, বাণিজ্যমেলা শেষের দিকে, তাই বাবা-মাকে নিয়ে ঘুরতে বের হলাম। এসে কিছুসংখ্যক প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ক্রয় করেছি। এর মধ্যে আমার মা বললেন ওয়াল শাওয়ারের কথা। তাই এখানে প্রবেশ করেই একটি ওয়াল শাওয়ার কিনে নিলাম।
আরএফএলের সিনিয়র ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন জানান, আরএফএলের প্রত্যেকটি পণ্য দীর্ঘস্থায়ী টেকসই। তাই আমাদের পণ্যগুলো ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে থাকে। আশা করছি, সবসময়ের মতো এবারও ভালো কেনাবেচা হবে।
এবারের মেলায় পণ্যের পসরা সাজিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপ প্রাণ-আরএফএল। দুটি প্যাভিলিয়নে ১২০টির মতো নতুন পণ্যসহ প্রায় ৬ হাজার ৪০০ পণ্য প্রদর্শন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া মেলা উপলক্ষে রয়েছে ১০-৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে এই বাণিজ্যমেলা। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে। এবারে মেলার প্রবেশমূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অনলাইনে ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্টে মেলার টিকিট কেনা যাবে।
রাশেদুল ইসলাম রাজু/এমআরএম/জেআইএম