আইএমএফের ঋণ দেশের অর্থনীতিতে স্বস্তি ফেরাবে: ঢাকা চেম্বার সভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪১ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে। ‘এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ)’, ‘এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ)’ ও ‘রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ)’-এর আওতায় এ ঋণ অনুমোদন করা হয়। ঋণের অর্থ ৪২ মাসে বিতরণ করা হবে।

এ ঋণ বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি কমাতে ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার মনে বলেন, আইএমএফের পক্ষ থেকে ঋণ প্রাপ্তির অনুমোদন বাংলাদেশের ঋণ প্রাপ্তির যোগ্যতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার বহির্প্রকাশ। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা চেম্বর অব কামর্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।

ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার সাত্তার বলেন, আইএমএফ বাংলাদেশকে ঋণ অনুমোদনের ক্ষেত্রে কিছু প্রাতিষ্ঠানিক ও পলিসি সংস্কারের শর্তারোপ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- আর্থিক খাত, নীতি কাঠামো, জ্বালানি খাত, সরকারি অর্থব্যবস্থা, স্থানীয় রাজস্ব বৃদ্ধি, জলবায়ু স্থিতিশীল করতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ইত্যাদি।

তবে আইএমএফের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ ঋণ সুবিধা বাংলাদেশকে বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করবে। তাৎক্ষণিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পাবে, যা আমাদের অর্থনীতিতে স্বস্তি ফিরিয়ে আনবে। এমনকি সরকার আমদানির ক্ষেত্রে এলসি খোলার কঠোর শর্তাবলী প্রত্যাহারের বিষয়ে বিবেচনা করার সুযোগ পাবে। আসন্ন রামজান মাসে নিত্যপণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনা করে এ ঋণ অবশ্যই ব্যবসায়ীদের জন্য স্বস্তি দেবে।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, সরকার এরইমধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার অনুমোদন এবং বাস্তবায়ন করেছে। আর্থিক খাতকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত মুদ্রানীতিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সুশাসন নিশ্চিত করার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি ঋণের সুদ হারের সীমা শিথিল করা হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা আনতে ক্রমান্বয়ে বাজারভিত্তিক এবং একক বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

ব্যারিস্টার সাত্তার আশা প্রকাশ করেন, সরকার সব খাতে সুশাসন নিশ্চিত করবে এবং তা বাজয় রাখবে। তিনি সরকারকে এ ঋণের যে কোনো শর্ত সম্পর্কে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান, যাতে বাংলাদেশ আইএমএফের নির্ধারিত শর্তগুলো প্রতিপালনে এগিয়ে থাকতে পারে।

ইএআর/এএএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।