বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ উপযুক্ত স্থান: আহসান খান চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:১৫ এএম, ১৩ মার্চ ২০২৩
আহসান খান চৌধুরী

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশ এই মুহূর্তে বিনিয়োগের উপযুক্ত স্থান বলে জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপ প্রাণ-আরএফএল এর চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী।

রোববার (১২ মার্চ) আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‌‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩’ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ‘টুয়ার্ডস অ্যা গ্লোবালি কমপিটিটিভ এগ্রি বিজনেস সেক্টর: ইমপেয়ারিং অপরচুনিটি ইন এগ্রো ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট’ শীর্ষক সেশনের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ কথা জানান।

বিদেশি উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে আহসান খান চৌধুরী বলেন, যদি অর্থ নিয়ে বসে থাকেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন। বাংলাদেশ বিনিয়োগের উপযুক্ত জায়গা। আমরা বিনিয়োগ করেছি, সুফল পেয়েছি। দেরি করবেন না। এই সেশন শেষ হওয়ার আগেই বিনিয়োগ করুন।

jagonews24

তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে সরকার, বেসরকারি খাত, ডোনার, এজেন্সি একযোগে কাজ করছে। এইচএসবিসিসহ বড় সংস্থাগুলো এখন বাংলাদেশকে নিয়ে ভালো কথা বলছে। আমরা খুব ছোট পরিসরে শুরু করেছিলাম। কৃষিতে আমাদের ব্যবসা বাড়ছে। ৪০ বছর আগেও আমাদের কিছু ছিল না। কিন্তু আমরা এগিয়ে গেছি, মধ্যম আয়ের দেশেও উন্নীত হবো।

‘আমাদের কৃষক ও শিল্পপতিদের কারণে এই উন্নতি সম্ভব হয়েছে। সরকার এখানে সহযোগী ভূমিকায় রয়েছে। আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। এখান থেকে দ্রুত ভারতে যাওয়া যায়। দেশটির সঙ্গে আমাদের অনেকগুলো বর্ডার রয়েছে। আমাদের প্রচুর কৃষি জমি রয়েছে, জমিতে ‍ঘুরে আসতে পারেন।’

তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিকভাবে আমরা স্থিতিশীল। ধন্যবাদ জানাই আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে। দেশকে এগিয়ে নিতে তিনি নিরলস কাজ করছেন। নতুন নতুন প্রযুক্তি আমাদের আসছে। আগামীতে বাংলাদেশের কৃষি পণ্য পৃথিবীর সবখানে পৌঁছে যাবে। যেটাই আপনাদের গেম প্ল্যান, এজেন্ডা আমরা সঠিক গন্তব্যে। হর্টিকালচার, ব্রেইন অ্যান্ড পালস উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। ফসল, মুরগি, মাছ উৎপাদন কৃষিখাতে ব্যাপক সম্ভাবনা আছে।

jagonews24

আমরা নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে চাই। প্রক্রিয়াজাত খাদ্যকে দেশের উদীয়মান খাত উল্লেখ করে আহসান খান চৌধুরী বলেন, এখন আমরা ছোট, কিন্তু একদিন অনেক বড় হবো। জিডিপিতে আমাদের অবদান ১.৭ শতাংশ। আমরা ৩.৫ শতাংশ খাদ্য প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পণ্য রপ্তানি করছি। এটা খুবই ছোট, তবে আমরা ধীরে ধীরে বড় হচ্ছি। মধ্যম আয়ের দেশ হলে দেশে খাবারের চাহিদা বাড়বে।

তিনি বলেন, যদি কৃষিকে ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদন করার কথা চিন্তা করা যায়, তাহলে বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের সঠিক গন্তব্য। যেভাবে দেশ এগোচ্ছে, তাতে আমাদের আরও কৃষিজাত পণ্য দরকার। ভবিষ্যতে কৃষিজাত পণ্য আরও বাড়বে। আমাদের লক্ষ্য আরও বেশি হর্টিকালচার ফসল উৎপাদন করা। আমি পেপসির প্রতিনিধিকে দেখতে পারছি। আমার কাছে মনে হয় একদিন পেপসি ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে বেশি ব্যবসা করতে পারবে। কৃষি, প্রক্রিয়াজাত, বাজারজাত, বিপণনের করণে প্রচুর সম্ভাবনা আছে। ২০৪১ সালেও আমাদের কৃষিজমি থাকবে। সেখানে প্রযুক্তির ব্যবহার হবে।

অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ছাড়াও বিডার নির্বাহী সদস্য মহসিনা ইয়াসমিন, এসিআই এগ্রো ডিভিশনের এমডি এফএইচ আনছারি, নেসলে বাংলাদেশের সিইও জাবেদ আক্তার, এগ্রো পেপসিকো পরিচালক আনুকুল জসি, অর্থনীতির অধ্যাপক পিরি ফাইলার, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী, এফবিসিআইর সাবেক সভাপতি নাছির হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।

ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটিটিভ রবার্ট সিম্পসনের সেমিনার সঞ্চালনা করেন।

এসএম/এমআরএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।