এইও তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া সহজ চায় বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:১৩ এএম, ১৬ মার্চ ২০২৩

বাণিজ্য সহজীকরণ এবং বিভিন্ন বন্দরে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া দ্রুততর করার লক্ষ্যে চালান কায়িক পরীক্ষা ছাড়াই সরাসরি খালাস প্রদানের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অথোরাইজড ইকনোমিক অপারেটর (এইও) সুবিধা চালু করেছে। তবে এক্ষেত্রে জটিল শর্ত আরোপের ফলে অনেক তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তা এই সুবিধা অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছেন না। এমনটাই মনে করে বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিকারক ও প্রস্তুতকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

এ অবস্থায় এইও আবেদন প্রক্রিয়া ও শর্তগুলো সহজ করতে সম্প্রতি এনবিআরকে চিঠি দিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

চিঠিতে বলা হয়, আবেদন প্রক্রিয়া ও শর্তগুলো সহজ করা হলে অনেক প্রতিষ্ঠান এই সুবিধা গ্রহণ করে দ্রুততার সঙ্গে পণ্য চালান খালাস করতে পারবে। পাশাপাশি ক্রেতার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রপ্তানি কার্যক্রম সম্পন্ন করে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারবে। এছাড়াও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে বিরাজমান বিভিন্ন জটিলতা নিরসন হবে। ফলশ্রুতিতে দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

এতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন কাস্টমস স্টেশনের মাধ্যমে তৈরি পোশাক শিল্পের আমদানি করা পণ্য চালান খালাসের ক্ষেত্রে নানা জটিলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। খালাস প্রক্রিয়ার এই জটিলতার কারণে রপ্তানিকারকরা সময়মতো তাদের পণ্য খালাস করতে না পারায় অনেক ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রপ্তানি কার্যক্রম সম্পাদনে ব্যর্থ হচ্ছেন। ফলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে পণ্য প্লেনে পাঠাতে হচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে রপ্তানি আদেশ বাতিল হয়ে রপ্তানিকারকরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ফলে দেশ হারাচ্ছে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা।

এইও সুবিধা গ্রহণ করার জন্য এরই মধ্যে অনেক রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, সেই সুবিধা গ্রহণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিল শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এর ফলে অনেকেই এই সুবিধার বিপরীতে যোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছেন না।

চিঠিতে বিজিএমইএ সভাপতি তৈরি পোশাক রপ্তানি বাণিজ্যকে সহজ ও নিরবচ্ছিন্ন রাখার লক্ষ্যে এইও সনদ পাওয়ার জন্য এরই মধ্যে যারা আবেদন করেছেন তাদের আবেদন নমনীয়ভাবে প্রক্রিয়াকরণ করে এইও সনদ প্রদান করার আর্জি জানান। এছাড়াও নতুনভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান আবেদন করলে তা দ্রুততার সঙ্গে প্রক্রিয়াকরণ করে সনদপত্র জারি করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান তিনি।

২০১৩ সালে প্রথম এইও ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেয় এনবিআর। বিভিন্ন দেশের এইও সুবিধাগুলো মূল্যায়ন করে প্রায় পাঁচ বছর পর ২০১৮ সালের ২৮ জুন এইও বিধিমালা জারি করা হয়। তিনটি ওষুধ কোম্পানিকে পরীক্ষামূলকভাবে এইও সুবিধা দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত জানুয়ারিতে আরও ৯টি প্রতিষ্ঠানকে এই সনদ দেওয়া হয়।

এসএম/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।