উড়োজাহাজ সেবায় সম্পূরক শুল্ক-মূসক প্রত্যাহারের প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩৯ পিএম, ২১ মার্চ ২০২৩

চার্টার্ড উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টার সেবার সার্ভিসের ওপর প্রযোজ্য সম্পূরক শুল্ক ও মূসক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এওএবি)। বর্তমানে এ ধরনের সেবার ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ১৫ শতাংশ মূসক আরোপিত রয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় সংগঠনটি এসব প্রস্তাব করেন। হেলিকপ্টার, উড়োজাহাজেরর যন্ত্রাংশ আমদানির ওপর ৫ শতাংশ আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।

প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে শুল্ক বিভাগের সদস্য মো. মাসুদ সাদেক, ভ্যাট নীতির সদস্য জাকিয়া সুলতানা ও আয়কর নীতির সদস্য সামস উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া সংগঠনটি আরোপিত সকল আমদানি শুল্ক, মূসক ও আগাম কর এবং অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ওপর আরোপিত মূসক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে।

এওএবি জানায়, বর্তমানে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে ভ্রমণে আবগারি শুল্ক, বিমানবন্দর উন্নয়ন ফি, নিরাপত্তা ফি, এমবার্কেশন ফিসহ এসব চার্জের ওপর ১৫ শতাংশ মূসক যোগ করলে ৭২৫ টাকা আরোপ করা হচ্ছে। এটা কমিয়ে ৫০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ জ্বালানির ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহার চেয়েছে সংগঠনটি।

বাস, ট্রাক ও লরির রেডিয়াল টায়ার সম্পূর্ণ আমদানিনির্ভর উল্লেখ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি তাদের বাজেট প্রস্তাবনায় জানায়, বর্তমানে এসব পণ্য আমদানিতে ১৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক, ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ অগ্রিম কর ও ৫ শতাংশ অ্যাডভান্স ট্রেড ভ্যাট (এটিভি) নির্ধারিত আছে।

সেই সঙ্গে প্রতি কেজি রেডিয়াল টায়ারে ৩ দশমিক ৫০ ডলার ও নন-রেডিয়াল টায়ারে ৩ ডলার ট্যারিফ বিদ্যমান আছে। এই হার রেডিয়াল ও নন-রেডিয়াল উভয় ক্ষেত্রে ২ ডলার করার প্রস্তাব দিয়েছে পরিবহন সমিতি। এছাড়া আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশ ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব জানিয়েছে সংগঠনটি।

সংগঠনটি আরও জানায়, মোটরযানে ব্যবহৃত ইঞ্জিন আমদানিতে সুনির্দিষ্ট এইচএস কোড নির্ধারণ করে আমদানি শুল্ক ৩ শতাংশ করা ও খুচনা যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে তারা।

বাংলাদেশ মটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতি তাদের প্রস্তাবে জানায়, হুইল রিম, হুইল নাট-বোল্ট গাড়ির টায়ারের রিমে ব্যবহৃত জেনুইন হুইল নাট-বোল্ট আমদানির ট্যারিফ ভ্যালু ২ ডলার থেকে কমিয়ে ১ ডলার করার জন্য এবং ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে।

সংগঠনটি আরও জানায়, বাস-ট্রাকে ব্যবহৃত হুইল রিমের আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য কেজি ১ দশমিক ৫ ডলার। বর্তমানে এই পণ্যটির ওপর ট্যারিফ ভ্যালু নির্ধারণ আছে প্রতি কেজি ৪ ডলার। এই পণ্যের প্রকৃত ক্রয় মূল্যের ওপর ট্যারিফ ভ্যালু নির্ধারণ করার জন্য ও ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশন তাদের প্রস্তাবনায় জানায়, কোম্পানির করহার ৩৫ শতাংশ ও উৎসে আয়কর কর্তনের হার ৬ থেকে ৮ শতাংশ অনেক বেশি। তাই কোম্পানির কর হার ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা, উৎসে আয়কর কর্তনের হার ২ শতাংশ করা এবং কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের মূলধনী যন্ত্রপাতি ও খুচরা যন্ত্রাংশের আমদানী শুল্কমুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।

অন্যদিকে বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বামা) ইলেকট্রিক গাড়ি আমদানির ওপর সর্বনিম্ন হারে শুল্ক নির্ধারণ, দেশীয় অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারিং প্রতিষ্ঠানসমূহকে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত অটোমোবাইল পণ্যের ক্ষেত্রে বাস্ত ওয়্যারহাউজ সুবিধা, বাণিজ্যিক গাড়ির ওপর বিদ্যমান ১০ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে।

এসএম/এমআরএম/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।