সালমান এফ রহমান

পার্লার ব্যবসায়ী, পাখি-খরগোশ বিক্রেতাদেরও ট্যাক্স দিতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:২১ পিএম, ২২ মার্চ ২০২৩

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, এখন দেখা যায় করজালে ঢুকে পড়েছেন যারা, তারাই শুধু কর দিয়ে যাচ্ছেন। এটা ঠিক নয়। এটা পরিবর্তন করতে হবে। অনেক ছোট ছোট ব্যবসায়ী রয়েছেন, যারা পার্লার দিয়ে ব্যবসা করছেন, পাখি-খরগোশ বিক্রি করছেন। তারা লাভের জন্যই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দিয়ে রেখেছেন। তাহলে আপনি ব্যবসা করবেন, আর ট্যাক্স দেবেন না? তাহলে সরকার কীভাবে চলবে।

তিনি বলেন, তাদেরও কর দেওয়া উচিত। মানসিকতা বদলাতে হবে। আমাদের সবাইকে কিছু না কিছু কর দিতে হবে।

বুধবার (২২ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘২০২৩-২০২৪ বাজেটে বেসরকারি খাতে প্রত্যাশা’ শীর্ষক প্রাক বাজেট আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান এসব কথা বলেন।

সালমান এফ রহমান বলেন, মুদ্রাস্ফীতি সমস্যা এখন বৈশ্বিক সমস্যা। প্রথমে করোনা মহামারির সমস্যা দেখা দিলো, অর্থনীতিতে স্থবিরতা চলে এসেছিল। আমরা আমাদের সক্ষমতা দিয়ে এটা মোকাবিলা করতে পেরেছি। এরপরই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি আমাদের তিন-চার স্থানে প্রভাব পড়ে। ডলার শক্তিশালী হয়ে যায়, কমে যায় টাকার মান। জ্বালানির রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি, বিশেষ করে এলএনজির মূল্যবৃদ্ধি আমাদের ভাবিয়ে তোলে। মাত্র ১৪ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশ দাম হয়ে যায় এলএনজির।

তিনি বলেন, এসব সমস্যার পরই তৈরি হয় ফুড ক্রাইসিস। তবে প্রধানমন্ত্রীর একক প্রচেষ্টা ছিল যে, কোনো খালি জায়গা ফেলে রাখা যাবে না। ফুড ক্রাইসিস থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি।

আরও পড়ুন: ‘ডলার কিনতে ব্যাংক থেকে বেরিয়ে গেছে এক লাখ কোটি টাকা’ 

শেয়ারবাজার নিয়ে তিনি বলেন, ছোট বিনিয়োগকারীরা ব্রোকার হাউজের মাধ্যমে বিনিয়োগ না করে নিজেরাই বিনিয়োগ করেন। এতে যখন তারা লোকসানে পড়েন তখন বলেন, এর দায় সরকারকে নিতে হবে। কেন সরকার এ দায় নেবে? এখানে ছোট বিনিয়োগকারী ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ। তবে প্রতিষ্ঠিত বিনিয়োগকারী নেই। তাই এ ধরনের বিনিয়োগকারী বাড়াতে হবে। বন্ড মার্কেটকে রিভাইভ-হেলদি করার জন্য যা যা করার, করতে হবে।

ব্যাংকে সুদহার সীমা তুলে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের ম্যাক্রো ইকোনমিতে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমরা সঠিক দিকেই এগুচ্ছি বলে দাবি করেন তিনি।

এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর বলেন, এবারের বাজেটটি গতানুগতিক হবে না। বাজেটের সঙ্গে জড়িতদের চিন্তা করতে হবে করোনাভাইরাস, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্বের ব্যাংক দেউলিয়া ইত্যাদি বিষয়। কারণ এর প্রভাব আমাদের এখানেও পড়তে পারে।

এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের আয় দরকার, আবার ব্যবসাও দরকার। এনবিআর-এর সঙ্গে আমরা কথা বলি কিন্তু সেটি এভাবে নেওয়া হচ্ছে না। রাজস্ব কালেকশন যেমন দরকার, পলিসিও দরকার। এনবিআর জেলা-উপজেলায় অফিস করবে শুনেছি, কিন্তু সেখানে দক্ষ জনবল প্রয়োজন। এটা না হলে কর বাড়বে না।

এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, এনবিআর নিজেকে কী ভাবে, জানি না। তবে আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের জন্য কাজ করি। এনবিআর যেভাবে চলছে তাতে ট্যাক্স বাড়ছে না, কমে যাচ্ছে।

ইএআর/এমএইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।