তরুণদের কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে উৎসাহিত করছে বাংলালিংক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩৯ এএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

তরুণদের জন্য দেশের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল প্রতিযোগিতা ইনোভেটর্সের সপ্তম আসরের বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। প্রতিযোগিতার অয়োজন করে দেশের অন্যতম উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক।

চলতি বছরের অক্টোবরে এ প্রতিযোগিতার সপ্তম আসর শুরু হয়। এ আসরের মূল লক্ষ্য ছিল তরুণদের কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারে উৎসাহিত করে তাদের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের বিকাশে সাহায্য করা।

দেশের ১৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩৫ হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। প্রাথমিক বাছাই শেষে নির্বাচিত প্রতিযোগীরা তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। এরমধ্যে অন্যতম হলো বুট ক্যাম্প, গ্রুমিং সেশন, ওয়ার্কশপ ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ।

প্রতিযোগীরা তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলালিংকের বিভিন্ন বিভাগের অভিজ্ঞ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা পেয়েছেন। একাধিক ওয়ার্কশপ ও যথাযথ মূল্যায়নের মাধ্যমে সেরা পাঁচটি দলকে নির্বাচন করা হয়।

আয়োজনের চূড়ান্ত পর্বে সেরা পাঁচটি দল অভিজ্ঞ বিচারকদের সামনে বাস্তব জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তাদের উদ্ভাবনী ডিজিটাল পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলালিংকের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ভিওনের গ্রুপ চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কান তেরজিওগ্লু বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এরিক অস, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও সামি আহমেদ ও বাংলালিংকের চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ।

jagonews24.com

বাংলালিংক ইনোভেটর্স ৭.০-এর চ্যাম্পিয়ন দল ‘অন দি এজ’। ফার্স্ট রানারআপ ও সেকেন্ড রানারআপ যথাক্রমে ‘টিম রকেট’ ও ‘ফোর অব অ্যা কাইন্ড’।

চ্যাম্পিয়ন দল বাংলালিংকের পৃষ্ঠপোষকতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অবস্থিত বাংলালিংকের স্বত্বাধিকারী কোম্পানি ভিওনের কার্যালয় পরিদর্শনের সুযোগ পাবে। সেরা ৩ দলের সব সদস্য বাংলালিংকের ফ্ল্যাগশিপ স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসিসটেন্ট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ প্রোগ্রাম তাদের ভবিষ্যতে দক্ষ ব্যবস্থাপক হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রশিক্ষণ দেবে।

সেরা পাঁচটি দলের সব প্রতিযোগী বাংলালিংকের অ্যাডভান্সড ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারবেন। এর মাধ্যমে তারা বাস্তবসম্মত উপায়ে করপোরেট অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাবেন।

এছাড়া সেরা ৪০ প্রতিযোগীর প্রত্যেকে বাংলালিংকের ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলালিংকের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে পারবেন।

‘ইনোভেটর্স’-এর চূড়ান্ত পর্বের অনুষ্ঠানে বাংলালিংকের নতুন মোটো ‘লিড দ্য ফিউচার’ ঘোষণা করা হয়, যা বাংলালিংকের নতুন এমপ্লয়ি ভ্যালু প্রপোজিশনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি প্রতিষ্ঠানটির অনুকরণীয় লক্ষ্য এবং এর কর্মীদের ধারাবাহিক উন্নতিকে প্রতিফলিত করে।

ভিওনের গ্রুপ সিইও কান তেরজিওগ্লু বলেন, বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের নেতৃত্বে থাকা তরুণ উদ্ভাবকদের প্রতিভা ও সম্ভাবনা দেখে আমি মুগ্ধ। ইনোভেটর্সের সপ্তম আসরের সমাপনী অনুষ্ঠানে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারার মতো চমৎকার কিছু পরিকল্পনা ও সমাধান তুলে ধরা হয়েছে। আমি গর্বিত যে, বাংলালিংক বাংলাদেশের ডিজিটাল যাত্রার অংশীদার হিসেবে এমন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। এ উদ্যোগ বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রাকে আরও এগিয়ে নিতে আমাদের অঙ্গীকারের একটি প্রতিফলন।

বাংলালিংকের চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ বলেন, এ প্রতিযোগিতা বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে ডিজিটাল দক্ষতার মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করার ক্ষেত্রে বাংলালিংকের বিশেষ উদ্যোগ। তরুণদের সুযোগ দেওয়ার জন্য বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও এগিয়ে আসা উচিত, যাতে তারা নিজেদের উন্নতির পাশাপাশি দেশেকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যেতে পারে। আমি প্রতিযোগীদের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী দক্ষতা দেখে মুগ্ধ। তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এমন সব সমাধান উপস্থাপন করেছেন, যা ভবিষ্যতে নতুন সম্ভাবনার সুযোগ তৈরি করবে।

এএএইচ/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।