ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়কের কাজ পেলো ২ প্রতিষ্ঠান, ব্যয় ৬৬৮ কোটি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২৩ পিএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

‘সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পের প্যাকেজ-০৬ এর লট-১২বি এর কাজ যৌথভাবে জিনজাল সিটি হাইওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন এবং ম্যাক্স ইনফ্রাস্টাকচার লিমিটেডকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে মোট খরচ হবে ৬৬৮ কোটি ৩৮ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭৮ টাকা।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহমুদ খান সাংবাদিকদের জানান, সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির তৃতীয় বৈঠক আজ হলো। বৈঠকে মোট সাতটি প্রস্তাব উপস্থাপিত হয়। এরমধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দুটি এবং জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের চারটি প্রস্তাব ছিল সব কয়টির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, জিওবি ও এডিবি’র অর্থায়নে সড়ক এবং জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পের প্যাকেজ-০৬ এর লট-১২বি এর ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। যৌথভাবে কাজটি পেয়েছে জিনজাল সিটি হাইওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন অ্যান্ড ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এতে মোট খরচ হবে ৬৬৮ কোটি ৩৮ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭৮ টাকা।

এর আগে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে একটি প্রস্তাব উপস্থাপিত হয়। প্রস্তাবটি ‘পিপিপি মডেলের অধীনে বিসিক ট্যানারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট, ঢাকায় সিইটিপি সংশোধন ও উন্নীতকরণ এবং এসডব্লিউএম স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্প পিপিপির আওতায় বাস্তবায়নের জন্য নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

এদিকে বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আজকে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা ও সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভায় আটটি প্রস্তাব ছিল। এর মধ্যে ক্রয়ের ছিল সাতটি। এর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি প্রস্তাব ছিল সেটা অনুমদোন দেওয়া হয়েছে। এরপর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দুইটি প্রস্তাব ছিল বহ্মপুত্র নদের ড্রেজিংয়ের কাজ। এটা রুটিনকাজ। প্রস্তাবে সব কিছু ঠিক ছিল বলে আমরা অনুমোদন দিয়েছি।

এছাড়া জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রস্তাব ছিল গ্যাস কেনার। সেগুলো আমরা অনুমোদন দিয়েছি। জ্বালানির আরেকটা ছিল শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের জন্য ওয়েলহেড কম্প্রেসর সংগ্রহ ও স্থাপন (প্রথম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পে ওয়েলহেড কম্প্রেসর স্থাপনের ঠিকাদার নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন।

জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে স্পট মার্কেট কেন বেছে নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, দেখুন আমরা যেখানে দাম কম পাবো সেখান থেকেই নেবো। আজও একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে আমরা যেখানে কম দাম পাবো সেখান থেকেই নেবো যদি আমাদের খুব তাড়াতাড়ি কিনতে না হয়, তাহলে আরও বিস্তৃত পরিসরে করতে হবে, জ্বালানি মন্ত্রণালয় সেটা করবে।

এমএএস/এমএএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।