প্রতিদিন ১০ শতাংশ করে বাড়ছে সিকদার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের দাম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৫৬ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

গত সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখিতার মধ্য দিয়ে পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। এই ঊর্ধ্বমুখী বাজারে সপ্তাহজুড়ে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে নতুন তালিকাভুক্ত সিকদার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের প্রতিদিনই কোম্পানিটির শেয়ার দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে। ফলে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার শীর্ষস্থান দখল করেছে এই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার।

শুধু গত সপ্তাহ নয়, শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরুর পর থেকে প্রতিদিনই দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে এই বিমা কোম্পানিটি। শেয়ারবাজারের নিয়ম অনুযায়ী, একদিনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে পারে। গত ২৪ জানুয়ারি থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরুর পর এখনো পর্যন্ত প্রতি কার্যদিবসেই দিনের সর্বোচ্চ দামে কোম্পানিটির শেয়ারের বিপুল ক্রয় আদেশ এসেছে। অপরদিকে প্রতিদিনই শূন্য পড়ে থেকেছে বিক্রয় আদেশের ঘর।

এভাবে দাম বাড়ায় এক মাসের কম সময়ের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ২০৯ শতাংশ। এতে ১০ টাকা দামের প্রতিটি শেয়ারের দাম ৩০ টাকা ৯০ পয়সায় উঠে গেছে। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির মাত্র ৪৩টি করে শেয়ার পেয়েছেন।

গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের প্রতিদিনই সিকদার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করায় এক সপ্তাহেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ৬০ দশমিক ১০ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেড়েছে ৯ টাকা ৭০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৯০ পয়সা। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যা ছিল ২১ টাকা ২০ পয়সা।

ফিক্সড ডিপোজিট, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ, ফ্লোর ক্রয় এবং আইপিও ব্যয় নির্বাহের জন্য সিকদার ইন্স্যুরেন্সকে আইপিওর মাধ্যমে ১৬ কোটি টাকার তোলার অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন নিয়ে কোম্পানিটি ১০ টাকা মূল্যে এক কোটি ৬০ লাখ শেয়ার ইস্যু করে শেয়ারবাজার থেকে ১৬ কোটি উত্তোলন করে।

এদিকে শেয়ারের দাম বাড়ার পরও বিনিয়োগকারীদের বড় অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে চাননি। ফলে সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে মাত্র ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬০ হাজার টাকা।

গত সপ্তাহে দাম বাড়ার শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল বাংলাদেশ ফাইন্যান্স। গত সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এর পরের স্থানে রয়েছে নূরানী ডাইং। সপ্তাহজুড়ে এ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩৬ শতাংশ।

এছাড়া দাম বাড়ার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। এছাড়া সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের ৩১ দশমিক ৫৬ শতাংশ, এবি ব্যাংকের ৩০ দশমিক ৭৭ শতাংশ, এডভেন্ট ফার্মার ২৯ দশমিক ৬০ শতাংশ, ফ্যামিলি টেক্সের ২৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ, মিথুন নিটিংয়ের ২৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির (বিআইএফসি) ২৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ দাম বেড়েছে।

এমএএস/কেএসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।