বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষে রেনেটা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০৯ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

দীর্ঘ মন্দা কাটিয়ে দেশের শেয়ারবাজারে প্রাণ ফেরার ইঙ্গিত মিলছে। গত এক সপ্তাহে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের বড় উত্থানের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনের গতি। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় এক সপ্তাহেই প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ১৬ হাজার কোটি টাকার ওপরে বেড়ে গেছে।

এমন বাজারেও উল্টো পথে হেঁটেছে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান। দাম বাড়ার বদলে সপ্তাহের ব্যবধানে এসব প্রতিষ্ঠানের স্থান হয়েছে দাম কমার তালিকায়। এ তালিকায় নেতৃত্ব দিয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের প্রতিষ্ঠান রেনেটা লিমিটেড। গত সপ্তাহে ডিএসইতে দাম কমার শীর্ষস্থান দখল করেছে কোম্পানিটি।

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৪০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৮টির। আর ১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা। আর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৫৯ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট।

এমন বাজারেও রেনাটা লিমিটেডের শেয়ারের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে ১২ দশমিক ১০ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ১৪৭ টাকা ৪০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭০ টাকা ৫০ পয়সা। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে যা ছিল এক হাজার ২১৭ টাকা ৯০ পয়সা। দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানিটির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে আটকে ছিলো। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়। তারপর এই দরপতন হলো।

কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তার আগে ২০২২ সালে ১৪০ শতাংশ নগদ ও ৭ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। ২০২১ সালেও এই কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের ১৪৫ শতাংশ নগদ, ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়। এছাড়া ২০২০ সালে দেয় ১৩০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ।

১৯৭৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১১৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৪৬ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯১টি। এর মধ্যে ৫১ দশমিক ২৯ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ শেয়ার আছে। বিদেশিদের কাছে আছে ২২ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার।

দাম কমে যাওয়ার পরও বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে খুব একটা আগ্রহী হয়নি। ফলে সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭৯ লাখ টাকা।

রেনেটার পরেই গত সপ্তাহে দাম কমার তালিকায় ছিল খান ব্রদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ দাম কামার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং।

এছাড়া গত সপ্তাহে দাম কমার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের দাম কমেছে ৮ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ, রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলসের ৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ, ইনটেক লিমিটেডের ৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ, এরামিট সিমেন্টের ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের ৪ দশমিক ৬০ শতংশ এবং আলহাজ টেক্সটাইলের ৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ দাম কমেছে।

এমএএস/কেএসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।