নতুন বাজার তৈরি ও বায়ারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন গুরুত্ব পাবে

ইয়াসির আরাফাত রিপন
ইয়াসির আরাফাত রিপন ইয়াসির আরাফাত রিপন
প্রকাশিত: ০৬:০৭ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

দেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৪ শতাংশ আসে তৈরি পোশাকখাত থেকে। পোশাকের বাজার যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপকেন্দ্রিক। একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পোশাকের বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইউরোপ-আমেরিকার ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন উদ্যোক্তারা। জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পোশাকের অপ্রচলিত বাজার। তবে অতিনির্ভরতা এড়াতে অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানিতে সরকার যে হারে নগদ সহায়তা দিয়ে আসছিল সেটা কমিয়েছে।

এতে অনেক কারখানা পড়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা উদ্যোক্তাদের। বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির কারণে অনেক দেশের ক্রেতা তাদের পোশাক কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। এতেও নতুন করে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে আসছে পোশাক খাতের সবচেয়ে বড় সংগঠন বিজিএমইএ নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচনে তিনি পরিচালক পদে লড়ছেন। আগামীর নেতৃত্ব, খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও বায়ারের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে জাগো নিউজের মুখোমুখি হন পোশাক খাতের অন্যতম প্রতিষ্ঠান ইভিন্স গ্রুপের পরিচালক শাহ রাঈদ চৌধুরী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নিজস্ব প্রতিবেদক ইয়াসির আরাফাত রিপন।

জাগো নিউজ: বর্তমান প্রজন্মের উদ্যোক্তা হিসেবে বিজিএমইএকে কীভাবে এগিয়ে নেবেন?

রাঈদ চৌধুরী: এক সময় বায়ারের সঙ্গে মিটিংয়ে যাওয়া হতো স্যুট-টাই পরে। এখন বায়ার মিটিং করেন হাফ প্যান্ট পরে, এটা করেন সময় বাঁচাতে। ফ্যাশন যেভাবে পরিবর্তন হয়েছে, বায়ারের মধ্যেও পরিবর্তন এসেছে। তবে কাস্টমার কিন্তু একই না। ক্রেতা আমার চেয়েও ইয়াং। এখন স্বাভাবিকভাবেই একজন সিনিয়রের ভাষা আর আমার ভাষা এক হবে না। ওই পজিশনগুলোয় আমাদের প্রজন্মকে আসা উচিত, আসতে হবে, যাদের গাইড করবেন সিনিয়ররা। ইয়াংদের উৎসাহিত করতে হবে। বিজিএমইএ একটা উদাহরণ যেখানে ইয়াংদের আসা উৎসাহিত করা হয়। ইয়াংদের মধ্যে কিন্তু দুই দল নেই। কে ফোরাম, কে সম্মিলিত প্যানেল এটা নেই। আবার সিনিয়ররাও তাদের মাথায় এটা দেননি।

 

আমি নতুন বাজার, নতুন পণ্য ডেভেলপমেন্ট, কাস্টমার রিলেশন স্থাপনকে গুরুত্ব দিতে চাই। বায়ারের সঙ্গে সম্পর্ক করবো, বাজার তৈরি করবো নিজের জন্য নয়, পুরো গার্মেন্টস সেক্টরের জন্য।

 

‘বৈশ্বিকভাবে দেখলে দেখা যায় বর্তমান প্রজন্মের মানুষের নেতৃত্ব চলছে। আমাদের দেশে মাত্র দ্বিতীয় প্রজন্ম এসেছে আরএমজি খাতে। ১৯৮৩ সালে টিনশেড দিয়ে কারখানা শুরু করেছিলেন আমার বাবা। এখন ৪০ বছর হয়েছে। সিনিয়ররা আমাদের গাইড করবেন, যুবকরা দৌড়াবে। তাদের (বর্তমান প্রজন্ম) স্বাধীনতা দিতে হবে তারা দৌড়াবে, কাজ করবে।’

জাগো নিউজ: আপনার প্রতিশ্রুতি কী থাকবে, বায়ারের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি না?

রাঈদ চৌধুরী: যে কোনো নির্বাচনে আমার পায়ের নিচে মাটি থাকতে হবে। মানে ব্যবসাকেন্দ্রিক অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। নিজেরা দুটি ব্র্যান্ড (নয়ার ও মিনিসো বাংলাদেশ) করেছি। আমাদের দেশে টপ পর্যায়ে রয়েছে রিটেইলে। আমার পরিবারের সবাই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কোভিডের আগে দুই ভাই নিজের হাতে গড়েছি গ্রিন ফ্যাক্টরি। আমরা জানার চেষ্টা করেছি, জেনেছি-বুঝেছি কারখানা করতে কতটা পেইন নিতে হয়, ক্যাপাসিটি নিয়ে পেইন থাকে। আবার বায়ারের প্রেশারটাও বুঝি।

নতুন বাজার তৈরি ও বায়ারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন গুরুত্ব পাবে

আমাদের এখানে ৩০ প্লাস বায়ার রয়েছে শুধু গার্মেন্টসে। আমরা শুধু ইউরোপ-আমেরিকা নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করি। দক্ষিণ আমেরিকা, পানামা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, লাতিন আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে আমাদের রপ্তানি হয়। নতুন মার্কেট এক্সপ্লোর করা আমাদের দায়িত্ব। এক বায়ারকে আমরা ক্যাপাসিটি পাওয়ার দেই না। আমরা অনলাইনভেঞ্চারে কাজ করি, সর্বোচ্চ ডিজাইনের ব্র্যান্ডের কাজ করি, সুপারশপের কাজ করি। আমরা বড় মিক্সড বায়ার নিয়ে কাজ করি। বলতে পারি পরীক্ষিত, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন তরুণদের আসা উচিত। আমি নতুন বাজার, নতুন পণ্য ডেভেলপমেন্ট, কাস্টমার রিলেশন স্থাপনকে গুরুত্ব দিতে চাই। বায়ারের সঙ্গে সম্পর্ক করবো, বাজার তৈরি করবো নিজের জন্য নয়, পুরো গার্মেন্টস সেক্টরের জন্য।

জাগো নিউজ: নতুন প্রজন্ম দেশের বাইরে থাকছে, পোশাকখাতে আসছে না বড় অংশ, কেন?

রাঈদ চৌধুরী: অনেকেই দেশের বাইরে থেকে যাচ্ছেন। দেশের বাইরে লেখাপড়া করার পর তারা সেখানেই থাকছেন, অনেকেই আবার আসছেন ব্যবসাও করছেন। এখানে আমি যদি শুধু আমার বাবার সুনাম ধরে চলি তাহলে বিপদ টানবো। আমার বাবার জন্য না, নিজের জন্যও না, ট্রেডের জন্য, দেশের জন্য আসা উচিত, কাজ করা উচিত। তরুণ নেতৃত্ব উৎসাহিত করবো সেক্টরে আসতে। তাদের দেশের সেক্টর বিষয়ে জানানো হবে, ট্রেইনআপ করা হবে। তাদের দেশের জন্য কাজে লাগিয়ে তরুণ নেতৃত্ব আনা হবে, যেখানে গাইড করবেন আমাদের সিনিয়র সদস্যরা।

আরও পড়ুন

এবারের নির্বাচনে আমাদের বর্তমান প্রজন্মের অনেকে এসেছেন। আমি ইয়াংদের প্রতিনিধি হয়ে উৎসাহ দিতে চাই যে তোমরা এই ট্রেডে এসো। ওই রোলটাও প্লে করতে চাই যে তোমাদের আসা উচিত। বাইরে পড়াশোনা করে দেশে এসেছি। আমার অনেক ভাই-বোন আছেন যাদের অনেক বড় বড় শিল্প-কারখানা রয়েছে। তাদের বলেবো এসো, দেখো গার্মেন্টস শিল্প কত গুরুত্ববহ। আবার যে বিদেশে থাকবে ঠিক আছে, সেখানে অফিস খোলো, বায়িং সাইটটা দেখো। এটাও একটা ফ্যাক্টর। বায়াররা যখন আসে এবং দেখে নতুন প্রজন্ম আসছে এতে তারাও উৎসাহ পায়।

জাগো নিউজ: বায়ারের সঙ্গে পণ্যের দরকষাকষির সুযোগ কতটুকু?

রাঈদ চৌধুরী: বায়ার প্রথমে গ্রুপ দেখে না, তারা দেখে কোন দেশকে কাজ দেবে। এটা আন্তর্জাতিক ব্যবসা। মার্কেট তাদের হাতে। আমাদের মতো অনেক কারখানা রয়েছে। দেশেই রয়েছে সর্বোচ্চসংখ্যক সবুজ কারখানা। প্রথম বায়ার দেখে কোন দেশে অর্ডার দেবো, তার হাতে কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, চায়না, মিয়ানমারসহ অনেকগুলো অপশন থাকে। সে দেখে কোয়ালিটি কেমন, তার দেশের আশপাশে কি না। সে প্রথমেই প্রাইস দেখে না। এরপর সে দেখে প্রাইস। ভ্যালুঅ্যাডেড আইটেমগুলো দেখে। এরপর সে যখন প্রাইস দেখে তখন সে কোয়ালিটিতে ছাড় দেয়।

নতুন বাজার তৈরি ও বায়ারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন গুরুত্ব পাবে

আর এসবের বেটার হলো বাংলাদেশ। ওরা আমাদের ভালোবাসে কারণ আমি তাকে সস্তায় পণ্য দিতে পারি। আর কোনো কারণ নেই আমাদের ভালোবাসার। তবে এখন ভিন্ন, কারণ আমি ডেভেলপ করছি। ভালোবেসে যখন সে অর্ডারটা দিলো তখন আমরা তিনজন (তিন কারখানা মালিক) মারামারি শুরু করি। আমি একটা প্রফিটেবল প্রাইসে বায়ার আনছি হঠাৎ একজন বললো আমি ২০ সেন্ট কমে ডেলিভারি দেবো, আরেকজন আমি ৩০ সেন্ট কমে দেবো। তাহলে প্রাইস কোথায় গেলো। প্রথম কান্ট্রির বার্গেনিং হয় বায়ারের সঙ্গে, সিলেকশনের পর নিজেদের মধ্যে বার্গেনিং হচ্ছে। প্রাইস এখানেই শেষ বা সেট হচ্ছে। এটা আমার হাতে নেই।

ভালো দাম পেতে সার্ভিস ভালো দিতে হবে। এক্ষেত্রে অটোমেশনে যারা ফোকাস করবে তাদের সুযোগ বেশি। এখন আমরা অটোমেশনে যাচ্ছি। কারণ হাতের কাজে ভুল হতে পারে। অটোমেশনে বিনিয়োগ করলে বায়ার আনতে পারবো। আগে রিকয়ারমেন্ট ছিল না, এখন অটোমেশন হচ্ছে। এতে বার্গেনিংয়ের সুযোগ থাকে।

বিভিন্ন চায়না বায়িং হাউজ দেশে ঢুকেছে, বিভিন্ন চায়না কোম্পানি দেশে বিনিয়োগ করছে। অনেক চায়না মালিক আছে, অর্ডার আসছে, ভ্যালুঅ্যাডেড কাস্টমার এদেশে মনোযোগ দিচ্ছে আসছে। এখন নিজেকে সেভাবে তৈরি করছি। এই যে হঠাৎ করে শ্রমের মজুরি বেড়েছে, কিন্তু হঠাৎ করে ব্যক্তির কারখানার কোয়ালিটি বাড়েনি।

জাগো নিউজ: সরকার রপ্তানিতে প্রণোদনা কমিয়েছে, এতে শিল্পের ওপর কী প্রভাব পড়বে?

রাঈদ চৌধুরী: প্রণোদনা কমানোয় অনেক কারখানার টিকে থাকা এখন চ্যালেঞ্জিং হবে। অনেক কারখানা আছে, যারা বেঁচে আছে প্রণোদনায়। আমরা যেটা মনে করি এটা অতিরিক্ত পাচ্ছেন মালিকরা। তবে বিপরীত চিত্রও আছে। একটা বায়ারের সঙ্গে যখন দরকষকষি হয় তখন বায়ার সরাসরি বলে তুমি তো প্রণোদনা পাও, তাহলে আমাকে কেন ডিসকাউন্ট দাও না। আরও কমাতে হবে, কমিয়ে দাও। সেক্ষেত্রে এ প্রণোদনা তো প্রাইসের ভেতরে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রণোদনাটা প্রাইসের ভেতরে থাকে। যখন নেগোসিয়েশন হয় তখন বলে তুমি এত ... পার্সেন্ট বাদ দাও। এতে অনেক বড় ক্ষতি হবে। এটা তো খরচের ভেতরে। এ কারণে অর্ডার ফল করবে।

নতুন বাজার তৈরি ও বায়ারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন গুরুত্ব পাবে

নতুন বাজারে পণ্য রপ্তানি আমাকে উৎসাহ জোগায়। আমরা পানামায় পণ্য রপ্তানি করি কিছু পাওয়ার জন্য। কিন্তু আমি কিছু না পেলে রিস্কি দেশে কি ব্যবসা করবো, মোটেও না। কেন করবো, আমি তো আমেরিকা-ইউরোপ নিয়ে বসে থাকবো, কারণ ওটা সেভ জায়গা। এতে ওভারঅল রপ্তানি কমে যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। রিস্ক নেবে উদ্যোক্তা, ঘরে বসে থাকবে অনেকেই। আমি দেখবো বিভিন্ন দেশে গেলে আমার সুযোগ-সুবিধা আছে। মার্কেট গাইড করবো যে শুধু আমেরিকা-ইউরোপ নয়, পুরো বিশ্বে ছোটো।

 

আমাদের ব্র্যান্ড মিনিসো বাংলাদেশ রিটেইল ব্যবসা, আমার সেলসম্যানকে যদি কিছু কন্ডিশন দেই তাহলে কাস্টমারকে আরও কেয়ার করবে। আমার ক্ষেত্রেও একই উৎসাহ পেলে আমিও দৌড়াবো। হঠাৎ করেই ধাক্কা দিলেন, অথচ আমি রেডি ছিলাম না। প্রণোদনা কমায় নেগেটিভ হবে রপ্তানি।

 

আমাদের ব্র্যান্ড মিনিসো বাংলাদেশ রিটেইল ব্যবসা, আমার সেলসম্যানকে যদি কিছু কন্ডিশন দেই তাহলে কাস্টমারকে আরও কেয়ার করবে। আমার ক্ষেত্রেও একই উৎসাহ পেলে আমিও দৌড়াবো। হঠাৎ করেই ধাক্কা দিলেন, অথচ আমি রেডি ছিলাম না। প্রণোদনা কমায় নেগেটিভ হবে রপ্তানি।

জাগো নিউজ: পোশাক খাতের সংকট নিয়ে জানতে চাই।

রাঈদ চৌধুরী: রপ্তানির বড় খাত পোশাক। এ খাতের সংকট একটা জায়গায় নেই। গ্যাসের সমস্যা আছে, সাপ্লাই রয়েছে কি না সেটাই দেখতে হবে। দেশের বড় শিল্প পোশাকখাত, তার সংকট হলে সেই লেবেলের সংকটই হয়, হয়েছেও তাই। বড় খেলোয়াড়ের সংকটও হয় বড়, বিভিন্ন দিক থেকে আসে। বিজিএমইএ যদি ক্যাপাবল হয়, পারফর্ম করতে পারে তাহলে সংকট দূর করা সম্ভব। আমরা সেটা মোকাবিলা করেই এগিয়ে নিতে চাই আমাদের সেক্টর।

জাগো নিউজ: বিজিএমইএ নির্বাচনে ভোটার কেন আপনাকে বেছে নেবে?

রাঈদ চৌধুরী: আমাদের গ্রুপ গ্রোয়িংয়ের দিকে, প্রতি বছরই বাড়ছে। চেইন অব কমান্ড রয়েছে। সব নিয়ম মতোই চলছে। প্রতিটি ইউনিটে আলাদা করপোরেট কালচার চালু রয়েছে। আমার পরিচিতির কিছু নেই। বিজিএমইএর কার্ড বসানোর জন্যই নির্বাচনে আসছি না। আমার ব্যক্তিগত কোনো লাভ নেই। তবে আমার কোম্পানির বোর্ডে আমি না এলেও চলবে যেহেতু করপোরেট কালচার চালু রয়েছে। এক্ষেত্রে আমার হাতে সময় আছে, অভিজ্ঞতাও রয়েছে। দুটোর সমন্বয়ে কাজ করতে চাই, যেখানে সিনিয়রদের গাইড নেওয়া হবে। অনেকের সময় আছে কিন্তু অভিজ্ঞতা নেই, সেটা আবার বিপদ হবে। আমার মতো যারা রয়েছেন, যাদের সময় আছে তারা এ সেক্টরে এলে কিছু দিতে পারবো। সময় ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারবো।

ইএআর/এএসএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।