করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে ৪ লাখ টাকা করার দাবি এফবিসিসিআইয়ের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩৮ পিএম, ০৪ এপ্রিল ২০২৪
হোটেল সোনারগাঁওয়ে এনবিআরের পরামর্শক কমিটির ৪৪তম সভা অনুষ্ঠিত হয়

বর্তমান মূল্যস্ফীতি এবং নিম্ন আয়ের মানুষের প্রকৃত আয় বিবেচনায় নিয়ে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়িয়ে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। একই সঙ্গে সিনিয়র সিটিজেন ও নারীদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৫ লাখ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরামর্শক কমিটির ৪৪তম সভায় এই দাবি জানানো হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং এফবিসিসিআইয়ের যৌথ উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপলক্ষে এফবিসিসিআইয়ের সুপারিশগুলো তুলে ধরেন সংগঠনটির সভাপতি মাহবুবুল আলম।

এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা লাখ টাকা বাড়িয়ে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং সিনিয়র সিটিজেন ও নারীদের জন্য ৫ লাখ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়। বর্তমান মূল্যস্ফীতি এবং নিম্ন আয়ের মানুষের প্রকৃত আয় বিবেচনায় নিয়ে এ দাবি জানানো হয়েছে।

এফবিসিসিআই বলছে, বর্তমানে প্রায় এক কোটি টিআইএনধারী রয়েছে। এর মধ্যে আনুমানিক ৩৫ লাখ আয়কর রিটার্ন দাখিল করে। যাদের আয় করমুক্ত সীমার উপরে আছে তাদেরকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের আওতায় আনা দরকার।

লিখিত বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বর্তমানে জাতীয় অর্থনীতি একটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়ালেও করোনা পরবর্তী দীর্ঘমেয়াদি বিরূপ প্রভাব এবং চলমান রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্য সংকটের মধ্যেও এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতির উন্নয়নের গতিধারাকে এগিয়ে নিতে হচ্ছে। এ জন্য দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সহায়ক পরিবেশকে আরও সুদৃঢ় ও জোরদার করা জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ অর্থনীতি সঠিক গতিতে চললেই সরকার তার কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আহরণ করতে পারবে।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফিতি নিয়ন্ত্রণ ও বাজার মনিটরিং, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রেমিট্যান্স প্রবাহ, রপ্তানি বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণ/বহুমুখীকরণ/নতুন বাজার সংযোজন, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, সুদের হার এবং আর্থিক ও ব্যাংকিং খাতের সংস্কার, ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন কার্যক্রম জোরদার করা, ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও বৃদ্ধি, রাজস্ব নীতির সংস্কার এবং মুদ্রা ও রাজস্ব নীতির মধ্যে সমন্বয়, সর্বস্তরে সুশাসন এবং সর্বোপরি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাই জাতীয় অর্থনীতিতে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে পরিলক্ষিত হচ্ছে।

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান দৃঢ় করতে ব্যবসায়িক খরচ (কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস) কমিয়ে আনা, বিনিয়োগ সুরক্ষা, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, সুষম বিনিয়োগ সহায়ক মূদ্রা ও শুল্ক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা, শিপিং খরচসহ সব ধরনের পরিবহন খরচ হ্রাসের আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ প্রভৃতি ক্ষেত্রে স্থায়ী পরিকাঠামো উন্নয়নে স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি কর আদায়ের ক্ষেত্রে হয়রানি ও জটিলতা দূর করার মাধ্যমে ব্যবসাবান্ধব কর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে আগামী বাজেটে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

মাহবুবুল আলম বলেন, ব্যাংকিং ও ফিন্যান্সিয়াল সেক্টরে শৃঙ্খলা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। ব্যাংকিং খাতের সংস্কার বিষয়ে সরকার এরই মধ্যে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যা ইতিবাচক ফল নিয়ে আসবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, বিনিয়োগ বাড়াতে এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার লক্ষ্যে সুদের হার স্থিতিশীল রাখতেন হবে। বিনিয়োগের স্বার্থেই সুদের হার কমিয়ে আনতে হবে। বৈদেশিক অর্থায়নে এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় ও অনুৎপাদনশীল প্রকল্প গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। অর্থ পাচার/মানি লন্ডারিং রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির প্রয়োজন হবে।

এফবিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি করার পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। বিদেশে দক্ষ জনসম্পদ পাঠাতে পারলে ভালো এবং টেকসই রেমিট্যান্স মিলবে। দক্ষ জনবলের পাঠানো রেমিট্যান্স অধিকতর মূল্য সংযোজন করতে সক্ষম। সম্ভাবনাময় এবং নতুন জনশক্তি রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি বলেন, ইকোনমিক ডিপ্লোমেসি তথা বাংলাদেশের বৈদেশিক মিশনগুলোকে দেশের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে কমার্সিয়াল কাউন্সিলরদের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

মাহবুবুল আলম বলেন, রাজস্ব বাড়াতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ জোরদার করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সহায়ক পলিসি সাপোর্ট, কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করে করের আওতা বৃদ্ধির মাধ্যমে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হবে।

তিনি আরও বলেন, রপ্তানি বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নগদ সহায়তার বিকল্প সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। বিকল্প সহায়তা হিসেবে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও পরিবহন খাতে প্রণোদনা বা বিশেষ সুবিধা দিতে হবে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে কয়েকটি বিষয়ের ওপর বিশেষ নজর দেওয়ার দাবি জানিয়েছে এফবিসিসিআই। এর মধ্যে রয়েছে-

>>> কর্মসংস্থানের স্বার্থে বিনিয়োগ, দেশীয় শিল্প ও সেবা এবং সিএমএসএমই-কে শুল্ক করের যৌত্তিক প্রতিরক্ষা।
>>> ক্ষেত্রবিশেষে অব্যাহতি যা বন্ড সুবিধা দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ভিত্তিতে রপ্তানি বৈচিত্রকরণের প্রয়াস অব্যাহত রাখা।
>>> ভোগ্যপণ্যসহ নিত্য ব্যবহার্য্য পণ্যের মূল্য ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখা।
>>> করণীতি, কর পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন, অটোমেশন ও ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে নেট বা করজাল সম্প্রসারণ।
>>> স্বোচ্ছায় কর প্রতিপালন হার বৃদ্ধি করে রাজস্ব আদায় তথা কর জিডিপির অনুপাত বৃদ্ধি করা।
>>> আয় ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও যথাযথ করনীতির মাধ্যমে অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস করা।
>> সমন্বিত শুল্ক-করা এবং মুদ্রা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।

এফবিসিসিআই যেসব দাবি জানিয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-

>>> করহার কমিয়ে আয়কর এবং মূসকের আওতা সম্প্রসারণ করে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ বাড়ানো। ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি করতে আয়করের আওতা বাড়ানো। সক্ষম করাদাতাদের আয়করের আওতায় আনা। এ লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সমন্বিত ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন জরুরি সংস্কারক আবশ্যক।

>>> আমদানি পণ্যের যথাযথ শুল্কায়ন, পণ্য খালাস এবং সব ধরনের শুল্ক ও কর পরিশোধ ত্বরান্বিত করতে বিদ্যমান এসাইকুডা সিস্টেমের সার্বিক উন্নয়নসহ বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো সংক্রান্ত কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন করা।

>>> অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটরের সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিতে হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের রাজস্ব আহরণ এবং রাজস্ব পলিসি কার্যক্রম পৃথক করা এবং ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন বিভাগ নামে একটি বিভাগ গঠন করা।

>>> ট্যাক্স, ভ্যাট ও কাস্টমস প্রশাসনকে সমন্বয় করা ও অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসা। রাজস্ব বোর্ড দ্বারা জাতীয় রাজস্ব পরিচালিত হলেও ট্যাক্স, ভ্যাট এবং কাস্টমস এই তিনটি শাখার মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয় না থাকায় এই তিন শাখার কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার অভাব পরিলক্ষিত হয়। এ জন্য অটোমেটেড ও ইন্টিগ্রেটেড রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা খুবই জরুরি।

>>> আমদানি করা কাঁচামাল, মধ্যবর্তী কাঁচামালসহ যাবতীয় শিল্প উপকরণের ওপর আরোপিত অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং ভ্যাট আইনের আওতায় আগাম কর (এটি) প্রত্যাহার করা।

>>> ঢাকায় একটি পৃথক বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) এবং চট্টগ্রামে একটি বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) স্থাপনসহ দেশের সব উপজেলায় আয়কর অফিস চালু করে সক্ষম করদাতাদেরকে আয়করের আওতায় নিয়ে আসা।

>>> ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসি বাস্তবায়নের দায়িত্ব (স্থানীয় শিল্পের স্বার্থে) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে দেওয়া।

>>> বর্তমান মূল্যস্ফীতি এবং নিম্ন আয়ের মানুষের প্রকৃত আয় বিবেচনায় নিয়ে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা এক লাখ টাকা বাড়িয়ে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সিনিয়র সিটিজেন ও নারীদের ৫ লাখ টাক নির্ধারণ করা।

>>> সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি এবং ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি করতে সব উপজেলা পর্যায়ে আয়কর দপ্তর স্থাপন করা।

>>> শিল্প পরিচালনার ব্যয় কমানোর জন্য আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়করের (এআইটি) হার ধাপে ধাপে কমিয়ে আনা।
>>> মিনিমাম ট্যাক্স ও উইথহোল্ডিং ট্যাক্স-কে যৌক্তিকীকরণ করা।

>>> রপ্তানি বাণিজ্যের বৃহত্তর স্বার্থে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানিকারকদের ইআরকিউ ফান্ড থেকে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য পরিশোধিত ফি থেকে উৎসে আয়কর কর্তনের হার ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা।

>>> সব কৃষিজাত নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যকে উৎসে কর কর্তনের আওতা বহির্ভূত রাখা।

>>> রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পসহ সব রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর হার ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে আগের মতো শুন্য দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা এবং তা আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর রাখা। পাশাপাশি নগদ সহায়তার ওপর আয়কর কর্তনের হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা।

>>> স্বেচ্ছা ক্ষমতা পদ্ধতি পরিহার করে কেবল সুনিদিষ্ট দালিলিক তথ্য বা প্রমাণের ভিত্তিতে এবং সেই সম্পর্কে করদাতার শুনানি এবং ব্যাখ্যা গ্রহণ করে আয়কর নির্ধারণ করা।

>>> বর্তমান আয়কর আইনে খুচরা বিক্রেতা ও ছোট পেশাজীবীদের আয় বা কর নির্ধারণের কোনো সুনির্দিষ্ট বা সহজ বিধান নেই। তাদেরকে কর নেটের আওতায় আনার জন্য একটি পৃথক ধারা সংযোজন করা।

>>> আয়কর আইন-২০২৩ এর ধারা ২৬১ প্রভিডেন্ট এবং গ্র্যাচুইটি তহবিলের জন্য রিটার্ন জমা দেওয়া এবং ১৫ শতাংশ কর কর্তন সংক্রান্ত বিধান প্রত্যাহার করা।

>>> স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিলের পাশাপাশি সাধারণ পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিলের সুযোগ পুনরায় প্রবর্তন করা।

>>> কর দিবস পরবর্তী সময়ে রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে প্রদত্ত অগ্রিম কর, উৎসে করসহ অন্যান্য প্রদত্ত করের ওপর জরিমানা সংক্রান্ত ধারা ১৭৪ বাতিল করা।

>>> ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সব সিটি করপোরেশন, বিভাগীয় শহর এবং জেলা শহরে সক্ষম সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট মার্কেট সমিতির সহায়তায় বাধ্যতামূলক মূসক নিবন্ধনের আওতায় আনা।

এমএএস/কেএসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।