ছোট অপরাধী ধরতে গিয়ে বড়দের জন্য সমস্যা হচ্ছে: ডিএসই চেয়ারম্যান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩১ এএম, ১৬ মে ২০২৪

বাজারে যেসব নীতি হচ্ছে, তাতে ছোট ছোট অপরাধীদের ধরতে গিয়ে বড়দের জন্য সমস্যা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু। তিনি বলেছেন, নীতি তৈরির ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের ওপর আপনাদের বিশ্বাস রাখতে হবে। ডিএসইর বোর্ড কাজ করে যাচ্ছে। বাজার এগিয়ে যাবে।

উধবার (১৫ মে) ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম’র নেতৃত্বে ডিবিএ’র পরিচালনা পর্ষদ ও ডিএসই পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ডিএসই পরিচালক মো. আফজাল হোসেন, রুবাবা দৌলা, মোহাম্মদ শাহজাহান, শরিফ আনোয়ার হোসেন, রিচার্ড ডি রোজারিও, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান, ডিবিএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুদ্দিন, ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর হায়দারসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, পুঁজিবাজারে যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তাদের সঙ্গে সবসময় আমাদের একটি যোগসূত্র থাকা প্রয়োজন। আমরা বিভিন্ন সময় ক্রান্তিকাল পার করি। ভবিষ্যতে যেকোনো ক্রান্তিকালে আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করে বাজারকে কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারি, সেটাই আমাদের মূল বিষয়বস্তু।

তিনি বলেন, আমরা ধারাবাহিকভাবে গত তিনদিন ধরে বাজারের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করছি‌, যার মূল উদ্দেশ্য হলো- বাজারের উন্নয়ন। বাজারের বাস্তবতা সম্পর্কে আপনারা যারা ব্রোকার, তারাই সবচেয়ে বেশি জানেন। তাই আপনাদের বাদ দিয়ে এর উন্নয়ন সম্ভব নয়।

ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, বর্তমানে আমাদের বাজারে জেড ক্যাটাগরিতে ১০০র বেশি কোম্পানি রয়েছে। এর আগে একবার জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির জন্য বাজারে ধীরগতি দেখা দেয়। আজ যে অবস্থা, তা কিন্তু একদিনে আসেনি‌। তাই আপনারা বললেই তৎক্ষণাৎ সব ঠিক করে ফেলতে পারবো না। আমরা পারি বা না পারি, বর্তমানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বোর্ড বাজার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে এবং চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, এই বাজারে যেসব নীতি হচ্ছে, সেখানে ছোট ছোট অপরাধীদের ধরতে গিয়ে বড়দের জন্য সমস্যা হচ্ছে। তাই নীতি তৈরির ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের ওপর আপনাদের বিশ্বাস রাখতে হবে। ডিএসইর বোর্ড কাজ করে যাচ্ছে। এতে বাজার এগিয়ে যাবে।

আইপিও প্রসঙ্গে ড. হাসান বলেন, আইপিওতে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেগুলো আমাদের পয়েন্ট আকারে লিখিতভাবে জানান। আমরা বিএসইসির সঙ্গে বৈঠক করে সেগুলো ঠিক করার চেষ্টা করবো।

ডিএসই'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বলেন, আমি ডিএসইতে কাজ করার সুবাদে এখানকার বিভিন্ন সমস্যা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জেনেছি। আমি আবার কমিশনে ফিরে যাচ্ছি কমিশনার হিসেবে। কমিশনে কাজ করার মাধ্যমে এগুলো সমাধানের চেষ্টা করবো।

তিনি বলেন, আপনারা যে বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন, সেগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী সরকারি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। এটি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।

এর আগে ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ডিএসই ট্রেকহোল্ডাররা আগে বাজার উন্নয়নে ডিএসই’র বোর্ড সদস্যদের সঙ্গে কাজ করতো। তাই বর্তমানে এবং ভবিষ্যতেও ডিএসইকে পুঁজিবাজার উন্নয়নে ট্রেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ত করে কাজ করতে হবে। বিগতদিনে বাজারের কোনো সমস্যা বা আইপিওর বিষয়ে আমরা যে পরামর্শ দিতাম, সেটি গ্রহণ করা হতো। কিন্তু এখন সেটি করা হয় না।

তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে যেসব সিকিউরিটিজ বাজারে এসেছে, সেসব শেয়ারের অধিকাংশের অবস্থা ভালো না‌। আইপিও হচ্ছে পুঁজিবাজারের প্রাণ। সেখানেই যদি সমস্যা হয় তাহলে বাজার এগোবে না‌। আজ কোথাও রোড শোতে গেলে ১৫ বছর ধরে সবচেয়ে ভালো কোম্পানি হিসেবে একটির কথা বলা লাগে‌। ভালো কোম্পানি নিয়ে আসার দায়িত্ব স্টক এক্সচেঞ্জের। সেটি তাদেরই আনতে হবে।

এমএএস/কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।