করোনায় ভাগ্য খুলছে পিএসসির অপেক্ষমাণ চিকিৎসক-নার্সদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৪৬ এএম, ২৯ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় স্বাস্থ্য ক্যাডার হিসেবে দুই হাজার চিকিৎসক ও পাঁচ হাজার নার্স নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নন ক্যাডার তালিকাভুক্তরা চিকিৎসক ও নার্স পদে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন বলে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) থেকে জানা গেছে।

পিএসসি সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) নিয়োগের চাহিদাপত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পিএসসিতে আসে। ওই চাহিদাপত্রে দ্রুত নিয়োগ নিষ্পত্তি করার তাগিদ দেয়া হয়।

পরে এ নিয়ে গতকালই বিশেষ সভা ডাকে পিএসসি। নিয়োগগুলো কীভাবে দেয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয় ওই সভায়।

পিএসসি সূত্র জানায়, প্রথমে ৩৯ তম বিসিএসে অপেক্ষমাণ তালিকার চিকিৎসকদের নন ক্যাডার হিসেবে নিয়োগ করার কথা থাকলেও এই দুই হাজার চিকিৎসককে ক্যাডার হিসেবেই নেয়া হচ্ছে। তারা প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচিত হবেন।

পিএসসি সূত্র জানায়, ৩৯ তম বিশেষ বিসিএসে পিএসসি থেকে ৪ হাজার ৭৯২ জন চিকিৎসক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এরপরই ৩৯ তম বিসিএসে উত্তীর্ণ নন ক্যাডার আট হাজার ৩৬০ জনের নাম ঘোষণা করা হয়।

ফেব্রুয়ারিতে এই তালিকা থেকে মেধার ভিত্তিতে পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আরও ৫৬৪ জনকে মেডিকেল অফিসার হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি।

পিএসসি সূত্র জানায়, অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে মেধার ভিত্তিতে কীভাবে দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগ করা যায়, তা নিয়ে দ্রুত গতিতে কাজ করছেন তারা। মেধার ভিত্তিতেই দুই হাজার চিকৎসক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে সরকার নার্স নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রেও পিএসসিকে দায়িত্ব দিয়েছে। সভায় পিএসসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগের একটি নিয়োগ কার্যক্রম থেকে এই নার্সদের নিয়োগ দেয়া হবে। ২০১৭ সালের ওই নিয়োগ পরীক্ষার পর পাঁচ হাজার ১২৭ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। সেখানে অপেক্ষমাণ আছেন পাঁচ হাজার ৫৪ জন। সরকার যে পাঁচ হাজার নার্স নিয়োগ চাইছে, সে অনুসারে এখান থেকে প্রায় সবাইকে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে বলে মনে করে পিএসসি।

এ ব্যাপারে পিএসসি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ‘আমরা বিশেষ পরিস্থিতিতেও পূর্ণাঙ্গ সভা করেছি। নতুনভাবে চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দিতে গেলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, কয়েক দফা পরীক্ষার আয়োজন করতে হবে, যা সময় সাপেক্ষ। সেই অবস্থাও এখন নেই।’

মোহাম্মদ সাদিক বুধবার জাগো নিউজকে বলেন, ‘৩৯ তম বিশেষ বিসিএসের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে মেধার ভিত্তিতে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে এবং ২০১৮ সালের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নার্স নিয়োগ দেয়া হবে। তারা সবাই পরীক্ষিত। সবাই পাস করেছেন। পদ কম থাকার কারণে আমরা তাদের নিয়োগের সুপারিশ করতে পারিনি, তাই অপেক্ষমাণ তালিকায় রেখেছি।’

মোহাম্মদ সাদিক আরও বলেন, ‘সরকার এখন দুই হাজার চিকিৎসক ও পাঁচ হাজার নার্স নিয়োগ চাহিদা পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত সময়ে কাজ করছি। এতে আমাদের বাড়তি অফিস করতে হচ্ছে, দেশের স্বার্থ বিবেচনা করে সেটিও করতে প্রস্তুত আছে পিএসসি।’

এমএইচএম/এমএফ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।