বন্ধ হোস্টেলে ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের
করোনা পরিস্থিতিতে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ শিক্ষার্থীরা হোস্টেলে না থাকলেও মাসিক ভাড়া দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মর্নিং শাখার শিক্ষার্থীদের কাছে এ বাবদ ফি আদায় করা হচ্ছে বলে একাধিক অভিভাবকের অভিযোগ। তৃতীয় শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মর্নিং শিফটের প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রতিমাসে তিন হাজার ৩০০ টাকা করে হোস্টেল ফি নেয়া হচ্ছে।
অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনার কারণে কলেজের হোস্টেল বন্ধ রয়েছে। প্রথম শ্রেণি থেকে কলেজ পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থী হোস্টেলে নেই। তারপরও মার্চ, এপ্রিল, মে মাসের হোস্টেল ফি ধরে বেতন দিতে হচ্ছে অভিভাবকদের। তবে এটি কলেজের নিয়ম বলে জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিভাবকরা বলছেন, এমন সংকটকালীন মুহূর্তে হোস্টেল ফি বাবদ এ টাকা নেয়া অমানবিক। এখন অনেক অভিভাবক কষ্টে আছেন। স্বল্প বেতনের অভিভাবকরা খুব কষ্টে সংসার চালাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বেতনও পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় এত টাকা কেটে নেয়া কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদ বলেন, ‘মর্নিং শিফটে যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি হয় তাদের বাধ্যতামূলক হোস্টেল খরচ দিতে হয়, কিন্তু ফুড চার্জ সবাইকে দিতে হয় না। যারা হোস্টেলে থাকবে তাদেরকেই শুধু ফুট চার্জ এবং হোস্টেল ফি দুইটা দিতে হবে। এটি ২০১৫ সাল থেকে বাধ্যতামূলক হয়ে আসছে। কলেজের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতেই সেটি উল্লেখ থাকে। এভাবে প্রতি শিক্ষার্থীকে তিন হাজার ৩০০ টাকা করে মাসিক হোস্টেল ফি পরিশোধ করতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘অনেক অভিভাবক আমাদের কাছে বলে থাকেন যে, শিক্ষার্থীকে হোস্টেলে রাখবেন না কিন্তু তারা হোস্টেল ফি দিতে রাজি থাকেন। এবং সে শর্তেই তারা শিক্ষার্থীদেরকে স্কুলে ভর্তি করে থাকেন। কিন্তু তাদেরকে ফুড চার্জ দিতে হয় না। মর্নিং শিফটের শিক্ষার্থী ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়ে থাকে।’
‘আমাদের প্রতিষ্ঠানটি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। আমরা সরকার থেকে কিছু অংশ পেয়ে থাকি। কিন্তু আমাদের শিক্ষকদের বেতন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, মালিকদের বেতন বা অন্যান্য আনুষঙ্গিক যে সমস্ত খরচ আছে সবকিছু মূলত টিউশন ফি বা অন্যান্য আনুষঙ্গিক ফি থেকে আসে। এটি যদি বন্ধ করে দেয়া হয় তাহলে আমরা কলেজের ব্যয় নির্বাহ করব কীভাবে?’-যোগ করেন অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদ।
এমএইচএম/এসআর/জেআইএম