জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দক্ষতাভিত্তিক শর্ট কোর্স চালুর ঘোষণা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:১৫ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০২২
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে আয়োজিত ওয়ার্কশপে বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান

দক্ষতাভিত্তিক শর্ট কোর্স ও ১২টি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা (পিজিডি) কোর্স চালু করতে যাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আইসিটি, সফটস্কিল, এন্টারপ্রেনারশিপসহ ১২টি দক্ষতাভিত্তিক পিজিডি কোর্স আগামী বছরের মার্চের মধ্যেই চালু হবে। একই সঙ্গে আগামী বছরে (২০২৩ সালে) শর্ট কোর্স চালুর ঘোষণা দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের সিনেট হলে আয়োজিত ওয়ার্কশপে তিনি এই ঘোষণা দেন।

ওয়ার্কশপে সভাপতির বক্তব্যে ড. মশিউর রহমান বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে আমরা দক্ষতাভিত্তিক শর্ট কোর্স ও ১২টি পিজিডি কোর্স চালু করতে যাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়কে ভেতর থেকে পরিবর্তনের চেষ্টা করছি। এসব কোর্সের আওতায় যখন আমাদের শিক্ষার্থীরা আসবে, তখন আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে শিক্ষকদের এসব কোর্স উপযোগী করে গড়ে তোলা, দক্ষ করে গড়ে তোলা। সে বিষয়ে আমরা এখনই উদ্যোগ নিচ্ছি। প্রয়োজনে ব্লেন্ডেড প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের তৈরি করা হবে।

তিনি বলেন, আগামী ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা নিশ্চিতে নতুন কারিকুলাম, আউটকাম বেইজড শিক্ষা নিয়ে আসা হবে। আউটকাম বেইজড শিক্ষা চালু করা মানে পাশ্চাত্যকে অনুকরণ নয়। আমাদের দেশজ, প্রাচ্য অঞ্চলের যে শক্তি, আমাদের শিক্ষার যে নৈতিকতার শক্তি- সেটি পাশ্চাত্য থেকে অনেক বেশি কার্যকর এবং শক্তিশালী।

‘সুতরাং আমরা যেন নৈতিকতা, পারিবারিক বন্ধন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অটুট রেখে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমুখী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারি সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য কোনো মতে বাজার এবং যোগ্যতা সৃষ্টি নয়, শিক্ষার উদ্দেশ্য দেশ এবং মানুষ গঠন। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে দেশ এবং সঠিক মানুষ গঠনে মনোনিবেশ করবো। এ কারণেই কোভিড উত্তর পৃথিবীতে ইউক্রেন-রাশিয়া যখন যুদ্ধ করে, তখন আমরা মিয়ানমারের লাখো শরণার্থীকে আশ্রয় দেই। এটি হচ্ছে মানবিক বাংলাদেশ, স্বতন্ত্র বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিসিএস থেকে শুরু করে উদ্যোক্তা হওয়ার লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছেন। সারাদেশে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কিন্তু এই পর্যায়ে যেতে একজন শিক্ষার্থীকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যেতে হয়। অনেকে বলেন আমার শিক্ষার্থীরা বেকার। তাদেরকে স্টাডি করতে বলবো- আমার শিক্ষার্থীরা দেশসেবায় কতটা আত্মনিয়োগ করেন।

এমএইচএম/কেএসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।