ঢাবিতে খোদা বক্স স্মৃতি স্বর্ণপদক প্রবর্তন


প্রকাশিত: ১১:২৮ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগে ‘খোদা বক্স স্মৃতি স্বর্ণপদক’ প্রবর্তন করা হয়েছে। স্বর্ণপদকটি প্রবর্তনের লক্ষ্যে প্রয়াত খোদা বক্স-এর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী তৃতীয় ছেলে মোহাম্মদ ওবায়দুর রহিম ১০ লাখ টাকার একটি চেক উপাচার্য অধ্যাপক ড.  আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের কাছে হস্তান্তর করেন।
 
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দফতরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই চেক হস্তান্তর করা হয়। এসময় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. বরকত-এ- খোদা এবং উপ-রেজিস্ট্রার সাহেনা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
 
ট্রাস্ট ফান্ডটির আয় থেকে প্রতিবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের স্নাতক সম্মান পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএ প্রাপ্ত একজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে ‘খোদা বক্স স্মৃতি স্বর্ণপদক’ প্রদান করা হবে। এছাড়া, বিভাগের একজন অস্বচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হবে।  
 
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক স্বর্ণপদক প্রবর্তনে আর্থিক অনুদানের জন্য দাতাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই অনুদানের ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়ায় আরও উৎসাহিত ও মনোযোগী হবে। তিনি প্রয়াত খোদা বক্স-এর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
 
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বীমা শিল্পের পথিকৃত খোদা বক্স ১৯১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দেশের ইন্স্যুরেন্স শিল্পের জনক হিসেবে বিবেচিত। ১৯৩৫ সালের ১ ডিসেম্বর কলকাতার ওরিয়েন্টাল গভর্মেন্ট সিকিউরিটি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদানের মধ্য দিয়ে তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবন শুরু হয়। সেখানে ১৭ বছর কাজ করার পর তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং ইস্টার্ন ফেডারেল ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে ম্যানেজার হিসাবে যোগ দেন।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ জীবন বীমা কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি এর প্রথম ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিযুক্ত হন। বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনে তিনি দেশের মাঠ পর্যায়ে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান এবং সারাদেশে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলেন। তিনি ১৯৩৯ সালে জোবেদা খাতুনকে বিয়ে করেন। তিনি ৬ ছেলে এবং ২ মেয়ের জনক। ১৯৭৪ সালে ১৩ মে তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।            
 
এমএইচ/এসকেডি/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।