কাঙ্ক্ষিত ফল পেয়ে ভিকারুননিসা শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস
উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে আজ। পরীক্ষায় প্রত্যাশিত ফলাফল পেয়ে আনন্দ-উল্লাসে উদযাপন করেছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের আনন্দ-উল্লাসের সঙ্গে মেতে ওঠেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এমন চিত্রই দেখা যায়।
পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, এইচএসসি পরীক্ষায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৮০ শতাংশ। ঢাকা বোর্ডে জিপিএ- ৫ পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪২১ জন। এবারের পরীক্ষায় সারাদেশে মোট অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ছিলেন ১২ লাখ তিন হাজার ৪০৭ জন। উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় রাজধানীর ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এবছর ২ হাজার ৩৪৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় রেজিস্ট্রেশন করেন। এরমধ্যে ৭ জন অনুপস্থিত, ৪ জন ফেল করায় থাকায় পাস করেছেন ২ হাজার ৩৩৫ জন শিক্ষার্থী। কলেজটিতে পাশের হার ৯৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় কলেজটি থেকে ২ হাজার ১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। যা পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীর ৮৫ দশমিক ৭০ শতাংশ।
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া তাসফিয়া জাহান জাগো নিউজকে বলেন, করোনার পরে আমরা সব বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছি। একটু চাপ ছিল। তবে পরীক্ষা ভালো দিয়েছিলাম। তাই ফলাফল যেমনটা আশা করেছিলাম তা পেয়েছি। এতে খুবই খুশি।
মাশিয়াত শাহাবুদ্দিন সৌরী নামের আরেক শিক্ষার্থী জাগো নিউজকে বলেন, এসএসসির রেজাল্টের দিন করোনার কারণে বাসায় ছিলাম। তাই এবার এইচএসসি পরীক্ষার পর ফলাফল পেয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ-উল্লাস করতে কলেজে এসেছি।
এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া সামিয়া বিনতে নূরের মা দিলরুবা আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, মেয়ের রেজাল্ট পাওয়ার আগ পর্যন্ত বেশ চিন্তিত ছিলাম। করোনার কারণে গতবছর সব বিষয়ে পরীক্ষা হয়নি। তবে এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে সব বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছে। তাই পরীক্ষার প্রশ্ন ও পরীক্ষা কেমন হবে তা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। আজ ভালো রেজাল্ট পেয়ে খুব খুশি। মেয়েকে চিকিৎসক বানাতে চাই। পরবর্তী পরীক্ষায় যেন ভালো করে সেটাই এখন চাইবো।
নাজনীন রহমান নামের অপর এক অভিভাবক জানান, মেয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়ায় নাটোর থেকে ঢাকায় চলে আসি আমরা। এটা একটা বাড়তি চাপ ছিল মেয়ে কেমন ফলাফল করে। জিপিএ ফাইভ পাওয়ায় আমরা খুশি। মেয়ের স্বপ্ন সে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হবে।
আরএসএম/কেএসআর/জিকেএস