প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০৪ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২৪

‘ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ ইউজিসিতে একগুচ্ছ অভিযোগ’ শিরোনামে গত ১৯ জানুয়ারি জাগো নিউজ২৪.কমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার (জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দপ্তর)। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষে তিনি এ প্রতিবাদ জানান।

এতে উল্লেখ করা হয়, ‘জাগো নিউজে প্রকাশিত সংবাদটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অসত্য, বিভ্রান্তিকর, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রতীয়মান হয়। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব স্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রকাশিত এ সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’

‘ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও এর অধীনে অধিভুক্ত প্রায় এক হাজার ৫০০ ফাজিল ও কামিল মাদরাসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার ব্যর্থ চেষ্টা করা হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-বিএনপিচক্র যারা ইতিপূর্বে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল, তারা বর্তমান উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পর তাদের অপকর্ম বন্ধ করায় তার বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ করেছেন।’

প্রতিবাদলিপিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের প্রশংসাও করা হয়। এতে বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজের গতিশীলতা আনয়নে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ করোনাভাইরাস মহামারিসহ নানান জটিলতার মধ্যেও বিভিন্ন সময় উদ্ভাবনী পরিকল্পনার মাধ্যমে মাদরাসা শিক্ষার মান উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এবং সব অধিভুক্ত মাদরাসাসমূহের সব স্তরের সম্মানিত শিক্ষকদের সহযোগিতা নিয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। যার ফলস্বরূপ পরীক্ষা ব্যবস্থা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেশনজট মুক্তকরণ ও সঠিকভাবে শিক্ষার্থীদের হাতে ফলাফল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।’

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যখন বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে আধুনিক ও প্রযুক্তি সমৃদ্ধ বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপান্তরের জন্য কাজ করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তখন কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য এসব মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন। ভবিষ্যতে এমন ভিত্তিহীন ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।’

আরও পড়ুন: উপাচার্যের বিরুদ্ধে ইউজিসিতে দুর্নীতি-অনিয়মসহ একগুচ্ছ অভিযোগ

প্রতিবেদকের বক্তব্য
প্রকাশিত সংবাদটি প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো মতামত বা অনুসন্ধানের ভিত্তিতে তৈরি করা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তদারকির দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরই একটি অংশ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সেই অভিযোগের কপি জাগো নিউজের হাতে আসে। তার ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

পাশাপাশি লিখিত অভিযোগে বিস্তারিত আরও তথ্য থাকলেও বিষয়টি তদন্তাধীন হওয়ায় তার পুরোটা প্রকাশ করেনি জাগো নিউজ। এছাড়া প্রতিবেদনে ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বক্তব্যও রয়েছে। ইউজিসি এরই মধ্যে এ অভিযোগ তদন্তে নেমেছে।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার আবু সালেহ মুহাম্মদ মুসা যে প্রতিবাদলিপি দিয়েছেন, তাতেও অসঙ্গতি ও বিভ্রান্তিকর তথ্য রয়েছে। প্রতিবাদলিপিতে জাগো নিউজে প্রকাশিত সংবাদে নেই— এমন অনেক তথ্যও উল্লেখ করা হয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর।

এএএইচ/কেএসআর/এসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।