প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ
পরীক্ষার আগের দিন জালিয়াত চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে টিকিয়ে দেওয়ার নিশ্চয়তার প্রলোভনের অভিযোগে জয়পুরহাট জেলা পুলিশ জালিয়াতি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতাররা হলেন- জয়পুরহাটের পাঁচবিবি কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ মো. রুস্তম আলী, বগুড়া সদর উপজেলার মো. ইশান ইমতিয়াজ ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের রোকনুজ্জামান। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানায় মামলা করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত লিখিত পরীক্ষার প্রাক্কালে জালিয়াতি চক্রের এ ধরনের প্রলোভনে কান না দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। জালিয়াতি চক্রের কোনো তৎপরতার সন্ধান পাওয়া গেলে নিকটস্থ থানায় অভিযোগের পরামর্শ দেন তিনি।
মহাপরিচালক বলেন, প্রথম ধাপের পরীক্ষার সময়ও এ ধরনের চক্র সক্রিয় ছিল। আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর সজাগ ও সতর্ক ভূমিকার কারণে তাদের অপপ্রয়াস ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় যেকোনো ধরনের অনিয়ম ঠেকানোর জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আগামীকালের পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জানা গেছে, শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত খুলনা, রাজশাহী, ময়নমনসিংহ বিভাগের ২২টি জেলা শহরে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দ্বিতীয় ধাপে মোট পরীক্ষার্থী ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ জন। ২২ জেলার ৬০৩ কেন্দ্রে কক্ষের সংখ্যা ৯ হাজার ৩৫৭টি।
এদিকে, এ ধাপে প্রশ্নপত্র ফাঁস, জালিয়াতি, অত্যাধুনিক ডিভাইসের ব্যবহার, প্রক্সিবাজি ঠেকাতে ২২ জেলায় মনিটরিংয়ে থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে তারা জেলায় জেলায় পৌঁছে গেছেন বলেও জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।
এএএইচ/এমএএইচ/এএসএম