দাপ্তরিক কাজে বিঘ্ন, নতুন ভবন চায় ইউজিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:০৬ পিএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

বর্তমানে দেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৫৫টি। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১১৪টি। ১৬৯টি বিশ্ববিদ্যালয় তদারকি ছাড়াও উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

সব ধরনের কাজই পরিচালিত হচ্ছে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত ইউজিসির ছয়তলা একটি ভবনে। ভবনটি ঘিঞ্জি হওয়ায় সেখানে দাপ্তরিক কাজকর্ম পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটছে। এজন্য নতুন অবকাঠামো চায় সংস্থাটি। ইউজিসির ৪৯তম বার্ষিক প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করা হয়েছে।

ইউজিসি এবার বার্ষিক প্রতিবেদনে ১৪টি সুপারিশ করেছে। ৫ নম্বর সুপারিশে বলা হয়েছে, ইউজিসি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের তদারকি, তত্ত্বাবধান ও উচ্চশিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষায় প্রায় ৪৮ লাখ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। ইউজিসির যাবতীয় কার্যক্রম আগারগাঁওয়ের ই-১৮/এ নম্বর প্লটে অবস্থিত ছয়তলা ভবনে পরিচালিত হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বিদ্যমান জনবল দিয়ে ব্যাপকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কর্মরত জনবলের জন্য বর্তমান ভবনটিতে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় দাপ্তরিক কাজের জন্য স্থান সংকুলান হচ্ছে না। অন্যদিকে ভবনটির নকশা অনুযায়ী— ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কমিশনের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে পরিচালনার স্বার্থে নতুন অবকাঠামো নির্মাণ অপরিহার্য হওয়ায় সরকার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে পারে।

জানতে চাইলে ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, আমাদের কাজের পরিধি বেড়েছে, জনবলও বেড়েছে। সবাইকে কাজের সুন্দর পরিবেশ দিতে হলে অবশ্যই অবকাঠামো দরকার। কিন্তু বর্তমান ভবনটি পুরোনো হওয়ায় এটার সংস্কার করে সম্প্রসারণ করা আর সম্ভব হচ্ছে না। সেজন্যই সরকারের কাছে নতুন অবকাঠামো চাওয়া হয়েছে। সরকার আমাদের সুপারিশ আমলে নিয়ে অর্থ ও জায়গা বরাদ্দ দিয়ে আধুনিক অবকাঠামো দিলে দেশের উচ্চশিক্ষা কার্যক্রমে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

এএএইচ/কেএসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।