দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে: ইউজিসি চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৪১ পিএম, ০৩ মার্চ ২০২৪

দেশের মোট জনগোষ্ঠীর মাত্র ১০ থেকে ১২ শতাংশ উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।

তিনি বলেন, মেধা ও জ্ঞানভিত্তিক প্রজন্ম তৈরির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত ও আত্মনির্ভরশীল দেশ হিসেবে রূপান্তর করতে হবে। এজন্য উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারীর সংখ্যা ৭০ শতাংশে উন্নীত করা আবশ্যক। সেক্ষেত্রে দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে এবং মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

কিশোরগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

গুরুদয়াল সরকারি কলেজে অবস্থিত অস্থায়ী ক্যাম্পাসে রোববার (৩ মার্চ) প্রথমবারের মতো এ দিবস উদযাপন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ।

মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত সুবিধা সম্প্রসারণের পরামর্শ দিয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, দেশে ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দ্রুততম সময়ে একাডেমিক ও ভৌত অবকাঠামোর মাস্টারপ্ল্যান তৈরি স্মার্ট ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

ইউজিসি চেয়ারম্যান

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে শিক্ষাখাতে মোট বরাদ্দ জিডিপির ২ শতাংশের কম। শিক্ষাখাতে এত কম বরাদ্দ দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশে নেই। এ স্বল্প বাজেট দিয়ে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং। উচ্চশিক্ষার কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২০৩০ সালের মধ্যে জাতীয় বাজেটের ৬ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়টির সিন্ডিকেট সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হক ও গুরুদয়াল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আ ন ম মুশতাকুর রহমান।

স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. ইমান আলী। বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার নায়লা ইয়াসমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বর্ণিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকালে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর ক্যাম্পাস থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালি বের হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুর্যালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

২০২৩ সালের ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ১০তলা ভবনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, গণিত, হিসাববিজ্ঞান ও ইংরেজি বিভাগে ২৪০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।

এএএইচ/ইএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।