জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

দুপুরে উপ-উপাচার্য নিয়োগ রাতে স্থগিত, নেপথ্যে কী?

আল-আমিন হাসান আদিব
আল-আমিন হাসান আদিব আল-আমিন হাসান আদিব , নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০৩ পিএম, ০৯ এপ্রিল ২০২৪
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান-ছবি সংগৃহীত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে একজন উপ-উপাচার্য রয়েছেন। তবে উপাচার্য অধ্যাপক মো. মশিউর রহমানের একক কর্তৃত্বেই চলছে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়টি। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। দাবি উঠেছে আরেকজন উপ-উপাচার্য নিয়োগের। অবশেষে গত ৪ এপ্রিল সরকার উপ-উপাচার্য পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে নিয়োগ দেয়। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এদিন দুপুরে তাকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আরেক প্রজ্ঞাপনে তার নিয়োগের আদেশ স্থগিত করা হয়।

দুপুরে নিয়োগের পর রাতে স্থগিতের ঘটনা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। সবার প্রশ্ন—রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ এতগুলো দপ্তর ঘুরে যে নিয়োগ চূড়ান্ত করা হলো, তা কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে স্থগিতের নেপথ্যে কী?

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান তার ‘ক্ষমতা’ ভাগাভাগি হোক, তা চান না। অধ্যাপক মশিউরের চাওয়া—সরকার যদি উপ-উপাচার্য হিসেবে কাউকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব দিতে চায়, সেক্ষেত্রে তাদের অনুসারী কাউকে দিতে হবে। এজন্য অধ্যাপক মিজানুরের নিয়োগের পরপরই সাবেক এক শিক্ষামন্ত্রী ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা সাবেক এক উপাচার্যের মাধ্যমে সরকারের উচ্চপর্যায়ে নেতিবাচক বার্তা দিয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে তিন বছর আগের যৌন হয়রানির একটি অভিযোগ (নিষ্পত্তি হয়ে গেছে) কাজে লাগিয়ে অধ্যাপক মিজানুরের নিয়োগ স্থগিত করেন।

আরও পড়ুন

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৩০ মে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি। তার চাওয়া মতেই সরকার অধ্যাপক মশিউর রহমানকে উপাচার্য নিয়োগ দেন। একইসঙ্গে অধ্যাপক মশিউর সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিরও ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। নিয়োগের পর একক কর্তৃত্বে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তিনি। আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৫ সালের ২৯ মে তার মেয়াদকাল শেষ হবে।

সবক্ষেত্রেই রাজনীতি আছে। শিক্ষকদের মধ্যে রাজনীতি একটু বেশি। তারা একই দলের অনুসারী। তবুও একজন আরেকজনকে দু’চোখে দেখতে পারেন না। এখানে তেমনই রাজনীতির বলি হয়েছেন অধ্যাপক মিজানুর রহমান। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক মিজানুরের যোগ্যতা-দক্ষতা বিবেচনা করেই নিয়োগে ইতিবাচক ছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিও সম্মতি দেন। চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপনের পরই জল ঘোলা হয়। নির্দেশনা আসে নিয়োগ স্থগিতের।

অধ্যাপক মশিউরের মেয়াদপূর্তির এক বছর আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন উপ-উপাচার্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এবং লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে উপ-উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে ‘আঁতে ঘা’ লাগে উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমানের। প্রজ্ঞাপন জারির পরই তিনি কয়েক বছর আগের একটি অভিযোগ সরকারের বিভিন্ন মহলে পাঠান এবং অধ্যাপক মিজানুরের নিয়োগ বাতিলের তদবির শুরু করেন। এতে সফলও হয়েছেন তিনি।

দুপুরে উপ-উপাচার্য নিয়োগ রাতে স্থগিত, নেপথ্যে কী?

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-ফাইল ছবি

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাগো নিউজকে বলেন, ‘সবক্ষেত্রেই রাজনীতি আছে। শিক্ষকদের মধ্যে রাজনীতি একটু বেশি। তারা একই দলের অনুসারী। তবুও একজন আরেকজনকে দু’চোখে দেখতে পারেন না। এখানে তেমনই রাজনীতির বলি হয়েছেন অধ্যাপক মিজানুর রহমান। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক মিজানুরের যোগ্যতা-দক্ষতা বিবেচনা করেই নিয়োগে ইতিবাচক ছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিও সম্মতি দেন। চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপনের পরই জল ঘোলা হয়। নির্দেশনা আসে নিয়োগ স্থগিতের।’

তিনি আরও বলেন, ‘যতদূর জেনেছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা সাবেক উপাচার্যের ঘনিষ্ঠ অধ্যাপক মিজানুর। আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা সাবেক উপাচার্যের ঘনিষ্ঠ অধ্যাপক মশিউর। অর্থাৎ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই তাদের গ্রুপিং। পাশাপাশি সাবেক একজন শিক্ষামন্ত্রীও অধ্যাপক মিজানুরের বিষয়টি নিয়ে কলকাঠি নেড়েছেন। সবমিলিয়ে নিয়োগটা স্থগিত হয়েছে।’

সরকার নিয়োগ দেওয়ার পরও নতুন উপ-উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন এবং গণমাধ্যমে খোলামেলা বক্তব্যও দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘সরকার উপ-উপাচার্য নিয়োগ দেবে, এটা স্বাভাবিক। এখানে আমার এখতিয়ার নেই। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আমার মতামত জানানোর অধিকার রয়েছে। হ্যাঁ, আমি সেটা করেছি।’

দুপুরে উপ-উপাচার্য নিয়োগ রাতে স্থগিত, নেপথ্যে কী?

ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন

অধ্যাপক মশিউর রহমান আরও বলেন, ‘শুধু আমি না, অনেকের সন্দেহ রয়েছে যে, তিনি (অধ্যাপক মিজানুর) মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শিক্ষক কি না। আবার তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে অভিযোগও ছিল। বিষয়গুলো হয়তো আমলে নিয়ে সরকার নিয়োগ স্থগিত করতে পারে। যদিও প্রকৃত কারণ কী তা আমি জানি না। আমার জানার আগ্রহও নেই।’

সরকার নিয়োগ দিতে পারে, আবার স্থগিতও করতে পারে বলে মনে করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিভিন্ন মহলে মিথ্যাচার করেছেন এবং গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা শিষ্টাচারবহির্ভূত বলে দাবি তার।

সরকার উপ-উপাচার্য নিয়োগ দেবে, এটা স্বাভাবিক। এখানে আমার এখতিয়ার নেই। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আমার মতামত জানানোর অধিকার রয়েছে। হ্যাঁ, আমি সেটা করেছি।

অধ্যাপক মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘সরকার আমাকে যোগ্য-দক্ষ মনে করেছিল বলেই হয়তো নিয়োগ দিয়েছিল। পরক্ষণে কেন নিয়োগ স্থগিত হলো, তা নিয়ে আমার কোনো প্রশ্নই ছিল না। গণমাধ্যমের বরাতে জানতে পারলাম উপাচার্য (অধ্যাপক মশিউর রহমান) আমার বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন মহলে মিথ্যাচার করেছেন। তিনি আমার আদর্শ, চিন্তা-চেতনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। গণমাধ্যমে মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য দিয়েছেন, আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সামাজিকভাবে আমাকে হেয় করে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন, আমি তার বিচার দাবি করছি।’

দুপুরে উপ-উপাচার্য নিয়োগ রাতে স্থগিত, নেপথ্যে কী?

নিয়োগ স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ২০০৮ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমি নীল দল থেকে ডিন, সিন্ডিকেট মেম্বার পদে নির্বাচন করেছি। নীল দলের প্রতিটি সভায় অংশ নিয়েছি। ২০১৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। অথচ আমি নাকি বিএনপি বা সাদা দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত—এমন সব ভিত্তিহীন অভিযোগ করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে একটি মহল।’

যৌন হয়রানির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চের (নিটার) উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনকালে ২০২১ সালে অধ্যাপক মিজানুরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি হয়। তদন্তে অভিযোগকারীসহ ৩৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে তদন্ত কমিটি। নিটারের ৬২তম সভায় ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

প্রতিবেদনের একটি কপি জাগো নিউজের হাতে এসেছে। তাতে দেখা যায়, কমিটির সদস্যরা যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলা দুজন নারী শিক্ষকের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন এবং তাদের সাক্ষাৎকার নেন। সেসময় অভিযোগ তোলা দুই নারী শিক্ষক কমিটিকে জানান, নিটারের কিছু শিক্ষক ও কর্মকর্তার প্ররোচনা এবং হুমকি দেওয়ায় তারা জীবনের ভয়ে লিখিতভাবে অধ্যাপক মিজানুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন বলে স্বীকার করেন। সেখানে প্ররোচিত ও বাধ্য করা ছয়জনের নামও জানান দুই শিক্ষিকা।

দুপুরে উপ-উপাচার্য নিয়োগ রাতে স্থগিত, নেপথ্যে কী?

যৌন হয়রানির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি

এছাড়া কমিটির তৃতীয় সভায় সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল মুত্তালিব, সহকারী অধ্যাপক ইসমত জেরিন, ফাহমিদা জারিন, প্রভাষক আতিক বিন হাবিব, বেনজির আহমেদ শুভ, ওয়াসিম আকরাম ও সিকিউরিটি গার্ড নজরুল ইসলাম, চালক সেলিম মিয়ার জবানবন্দিও নেয় কমিটি। সবাই যৌন হয়রানির অভিযোগ সত্য নয় বলে জবানবন্দি দেন।

আরও পড়ুন

সব পক্ষের মতামত নিয়ে প্রতিবেদনে সুপারিশ করে কমিটি। তাতে বলা হয়, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ সত্য নয় মর্মে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ফলে অধ্যাপক মিজানুরকে অভিযোগসমূহ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হলো। অভিযোগে অধ্যাপক মিজানুরের বিরুদ্ধে যে আর্থিক, প্রশাসনিক ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ দাখিল করা হয়েছিল, তার সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তাই এসব অভিযোগ থেকেও তাকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হলো।

দুপুরে উপ-উপাচার্য নিয়োগ রাতে স্থগিত, নেপথ্যে কী?

তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের তৎকালীন ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু। জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘তখন অভিযোগগুলো নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হয়েছিল। কমিটির সদস্যদের মনে হয়েছিল, সেখানে (নিটারে) যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ছিল, তার জেরে সেসময় এসব অভিযোগ জমা পড়েছিল। অধ্যাপক মিজানুর রহমান পদত্যাগ করে চলে আসায় সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে। আমরা তাকে (ড. মিজানুর) অভিযোগ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করেছিলাম। সেটা বাস্তবায়নও হয়েছিল।’

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিষয়টি (অধ্যাপক মিজানুরের নিয়োগ) নিয়ে কিছু কথা-বার্তা এসেছিল। আমরা সেগুলো যাচাই করছি। এজন্য সেটা স্থগিত রাখা হয়েছে। ঈদের পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর বেশি এখন কিছু বলা যাচ্ছে না।’

এএএইচ/এসএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।