আইসিপির ৪৬তম আসর

বিশ্ব প্রোগ্রামিং অলিম্পিয়াডে পশ্চিম এশিয়ায় চ্যাম্পিয়ন বুয়েট

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০৬ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

প্রোগ্রামিংয়ে বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ অলিম্পিয়াড ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্টে (আইসিপিসি) পশ্চিম এশিয়ায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) টিম পটেটোস। পাশাপাশি সামগ্রিক বৈশ্বিক ফলাফলে বুয়েটের এ টিম ২৮তম স্থান অর্জন করেছে।

বুয়েটের বিজয়ী দলের সদস্যরা হলেন- সাব্বির রহমান আবির (সিএসই-১৭), কাজী মো. ইরশাদ (সিএসই-১৭) ও এস কে সাবিত বিন মোসাদ্দেক (সিএসই-১৮)। ৪৬তম আসরে সামগ্রিকভাবে প্রথম স্থান অর্জন করেছে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। একই সঙ্গে পূর্ব এশিয়াতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

এবার আইসিপিসির ৪৬তম আসরের ওয়ার্ল্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে মিশর। দেশটির লুক্সর শহরে দ্য আরব একাডেমি ফর সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টে এবারের আসর বসে। ১৪-১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এ আসরে অংশ নেয় বিশ্বের ১২৪টি দল।

আইসিপিসির প্রতিযোগিতা দুটি পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্বে বিশ্বের আট অঞ্চল থেকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিজয়ীরা চূড়ান্ত (ওয়ার্ল্ড ফাইনাল) পর্বে অংশ নেন। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আটটি অঞ্চলের মধ্যে এশিয়া পশ্চিমাঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বুয়েট পেছনে ফেলেছে ভারতের আইআইটিকে।

আইসিপিসির যাত্রা শুরু হয় ১৯৭০ সালে। ১৯৭৭-২০১৭ সাল পর্যন্ত এ আয়োজনের দায়িত্বে ছিল কম্পিউটারের বৈজ্ঞানিক গবেষণার অন্যতম বৃহৎ ও পুরোনো প্রতিষ্ঠান অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটিং মেশিনারি (এসিএম)।

তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রোগামিং নিয়ে প্রতিবছর এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় ইন্টারনেটযুক্ত কম্পিউটারে টানা ৬ ঘণ্টা প্রোগ্রামিং সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন বা সমস্যার সমাধান করতে হয়।

চূড়ান্ত আসর বা ফাইনালে পরীক্ষা পরিচালনা করে আইসিপিসির বিচারক পর্ষদ। প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি সমস্যার সমাধান করা দলকে ওয়ার্ল্ড ফাইনাল বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

এএএইচ/এমএএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।