পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রস্তুত, যে কোনো সময় প্রকাশ
পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশের ফলাফল তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। কেটে গেছে আইনি সব জটিলতাও। চূড়ান্ত ফল তৈরি হয়ে গেলে যে কোনো সময়ে তা প্রকাশ করা হতে পারে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তারা বলছেন, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির চূড়ান্ত ফল তৈরির কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে। কোনো ধরনের জটিলতাও নেই। সেক্ষেত্রে আজ (মঙ্গলবার) রাতে কিংবা বুধ-বৃহস্পতিবার ফল প্রকাশ করা হতে পারে। অর্থাৎ, ঈদুল আজহার ছুটির আগেই ফল পাবেন প্রার্থীরা।
এনটিআরসিএর সংশ্লিষ্ট শাখার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জাগো নিউজকে বলেন, বুধ অথবা বৃহস্পতিবার পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে ফল তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় অতটা দেরি নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে আজ রাতেও ফল প্রকাশ হতে পারে।
জানতে চাইলে এনটিআরসিএর সচিব ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘ঈদের ছুটি শুরুর আগেই ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ফল তৈরির কাজ শেষ হয়ে গেলে আগেই তা প্রকাশ করা হতে পারে।’
আরও পড়ুন
- টানা ২০ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা প্রত্যয় স্কিমের বিরোধিতা করছেন কেন?
গত ৩১ মার্চ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬ পদে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজে পদ সংখ্যা ৪৩ হাজার ২৮৬টি। মাদরাসা ও কারিগরিতে ৫৩ হাজার ৪৫০ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৭ এপ্রিল থেকে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন শুরু হয়, শেষ হয় ২৩ মে।
তবে এবার গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগ পেতে আবেদন জমা পড়েছে মাত্র ২৩ হাজার ৯৩২ প্রার্থী। যাচাই-বাছাইয়ে তাদের মধ্যেও অনেকে বাদ পড়তে পারেন। সে হিসাবে আবেদন দাঁড়াতে পারে সাড়ে ২২ হাজার থেকে ২৩ হাজারের মধ্যে। অর্থাৎ, শূন্য থাকলেও প্রার্থী না থাকায় ৭৩ হাজারের বেশি পদ ফাঁকাই থাকবে।
জানা গেছে, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে শুধুমাত্র ১৬ ও ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা আবেদন করতে পেরেছেন। তবে ১৬তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ অধিকাংশ প্রার্থী চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছেন। ফলে আবেদন আরও কমেছে। এছাড়া ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হলেও বয়স শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই আবেদন করতে পারেননি। বয়সসীমা বেঁধে দেওয়ায় পদ ফাঁকা থাকলেও সেই অনুযায়ী প্রার্থী পাওয়া যায়নি।
এএএইচ/কেএসআর/এমএস