বইমেলায় সাংবাদিক মুস্তফা নঈমের ‘স্মৃতি-বিস্মৃতির কানুনগো পাড়া’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ১২:০২ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

অমর একুশে বইমেলায় এবার বেরিয়েছে সিনিয়র সাংবাদিক মুস্তফা নঈমের গল্পগ্রন্থ ‘স্মৃতি-বিস্মৃতির কানুনগো পাড়া’। বইটি প্রকাশ করেছে আপন আলো। বইটি চট্টগ্রামে সিআরবি শিরিষতলায় চলমান অমর একুশে বইমেলার ১-২ নম্বর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এবং ৯৮-৯৯নং আপন আলো স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।

শিক্ষক পিতার কর্মস্থলের সুবাধে মুস্তফা নঈমের বেড়ে উঠা চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর কানুনগো পাড়া গ্রামে। লেখক সেই গ্রামের স্মৃতি রোমন্থন করেছেন ‘স্মৃতি-বিস্মৃতির কানুনগো পাড়া’ গ্রন্থে। মুস্তফা নঈম বর্তমানে জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠে চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান হিসেবে রয়েছেন।

বইটির প্রকাশক আপন আলো’র স্বত্ত্বাধীকারী শামসুদ্দীন শিশির বলেন, সাংবাদিক মুস্তফা নঈম পেশা ও বেশভুষায় অন্য দশজনের চেয়ে আলাদা। মনের খেয়ালে যেমন চলেন, তেমনি লেখালেখিও খেয়াল খুশি মতো লিখেন। তার লেখালেখি কখন যে সাধারণ পাঠকের উপভোগ্য হয়ে গেছে তা খেয়ালই করেননি। শিক্ষক পিতার সন্তান মাটির কাছাকাছি থেকে অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে অবলোকন করেছেন স্থান-কালকে। তাই অতীত স্মৃতি রোমন্থনে পারদর্শীতা ও পারঙ্গমতার পরিচয় দিয়েছেন তার ‘স্মৃতি - বিস্মৃতির কানুনগো পাড়া’ গ্রন্থে স্মৃতি জাগানিয়া গদ্য লিখে।

এ প্রকাশক বলেন, ‘গল্প লেখা কঠিন। মানুষ, জনপদের জীবনাচার কালির আঁচড়ে তুলে আনা আরো কঠিন। মুস্তফা নঈম তার নিজস্বতায় মানুষের ভেতর -বাহির, পোশাক-আশাক, খানা খাদ্য, শিল্প সংস্কৃতি, খেলাধূলা, নানান পেশা, পথ-পথের শেষ, স্কুল-কলেজ, গ্রাম-গঞ্জের হাট-বাজার ইত্যাদি নানা কাহিনি পরম আন্তরিকতায় স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ ঘটিয়েছেন। বাঙালির মহান অর্জন মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন তার গ্রন্থে। পাঠক নিশ্চয়ই নিজের অতীত ঐতিহ্য ও পূর্বপুরুষদের ঠিকানা খুঁজে পাবেন এই গ্রন্থে।’

বইটির লেখক মুস্তফা নঈম গ্রন্থটি সম্পর্কে বলেন, ‘আমার বেড়ে ওঠার প্রিয় প্রাঙ্গন কানুনগোপাড়া এবং বোয়ালখালী নিয়ে যে স্মৃতির গল্পকথা সাজানোর চেষ্টা করেছি ‘স্মৃতি বিস্মৃতির কানুনগোপাড়া’য়। এতে অনিবার্যভাবেই ইতিহাসনির্ভর কিছু ঘটনা, ব্যক্তি উঠে এসেছে। একই সঙ্গে এই মাটির কীর্তিমান সন্তানদের মুখ তুলে ধরার চেষ্টা ছিল। এটা নিছক স্মৃতিচারণমূলক একটা লেখা। তারপরও এই জনপদ ও তার আশপাশের কিছু মানুষকে কেন্দ্র করে যেসব ঘটনা আবর্তিত হয়েছে তা লিপিবদ্ধ না হলে আমার লেখা অপূর্ণাঙ্গ থেকে যাবে।’

‘স্মৃতির সঙ্গে ইতিহাসের ঘটনার সন্নিবেশ ঘটেছে এখানে। প্রয়োজনের তাগিদেই যা হয়েছে। একই সঙ্গে এই জনপদের রত্ন সন্তান যারা ধুলোর আস্তরণে ঢাকা পড়ে গেছেন বা যাচ্ছেন সেই ধুলো সরিয়ে কিছুটা আলোয় নিয়ে আসার একটা প্রয়াস রয়েছে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে তাদের পূর্বজনদের মুখচ্ছবি নতুন করে তুলে ধরার পাশাপাশি সমসাময়িক কালের কৃতী সন্তানদেরও তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। হয়তো সব প্রজন্মের সবাইকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি। তারপরও চেষ্টা ছিল। আগামীতে কেউ যদি এ নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হয় হয়তো তার কাজে আসতে পারে আমার এ প্রচেষ্টা।’

 

ইকবাল হোসেন/এমআরএম/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।