ঢালিউডের নারী প্রধান ২০ ছবি

এক সময় নিয়মিত ঢালিউডে নির্মিত হয়েছে নারী প্রধান ছবিও। ঢাকায় সিনেমার ইন্ডাস্ট্রিতে চলচ্চিত্রের নায়িকাদের অবদান মোটেও কম নয়। শাবানা, ববিতা, সুবর্ণা মুস্তাফা, শাবনূর, মৌসুমী, পপিদের নিয়ে নির্মিত হয়েছে অনেক নারী প্রধান চলচ্চিত্র। যেসব ছবিগুলো ঢাকাই ছবির সোনালী অতীতের সাক্ষী। এই ছবিগুলো ব্যবসা সফল হওয়ার পাশাপাশি নারীদের মধ্যে মনোবল সৃষ্টি কিংবা নানা জনমত গঠনেও ভূমিকা পালন করেছে। অসংখ্য নারী প্রধান ছবির মধ্যে ঢাকাই ২০টি আলোচিত নারী প্রধান নিয়ে এই প্রতিবেদন।
রূপবান
১৯৬৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত লোককাহিনীনির্ভর বাংলাদেশি ছবি রূপবান। ছবিটি পরিচালনা করেছেন সালাউদ্দিন। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন সুজাতা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন মনসুর, চন্দনা, সিরাজুল ইসলাম, ইনাম আহমেদ, আনোয়ার হোসেন ও সুভাষ দত্ত। বাংলার নারীর ধৈর্য, ত্যাগ ও সংগ্রামের অনবদ্য গল্প নিয়ে এই ছবি। এতে সুজাতা রূপবান চরিত্রে অভিনয় করে তারকা খ্যাতি পান। সত্য সাহার সঙ্গীতায়োজনে এবং আবদুল আলীম ও নীনা হামিদের কণ্ঠে গাওয়া এ ছবির গান এখনও মানুষের মুখে মুখে।
গোলাপি এখন ট্রেনে
১৯৭৮ সালে মুক্তি পায় চলচ্চিত্র। ছবিটি পরিচালনা করেছেন আমজাদ হোসেন। এ ছবিতে অভিনয় করেছেন ববিতা, ফারুক, আনোয়ার হোসেন, রোজী সামাদ, আনোয়ারা, রওশন জামিল, এটিএম শামসুজ্জামান প্রমুখ। নারীর জীবনের সংগ্রাম এই ছবির উপজীব্য যা খুব সহজেই দর্শকদের হৃদয় জয় করেছিল।
সারেং বউ
১৯৭৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ ছবিটি পরিচালনা করেন আবদুল্লাহ আল মামুন। এ ছবিতে আবদুল জব্বারের কণ্ঠে গাওয়া ‘ওরে নীল দরিয়া আমায় দেরে দে ছাড়িয়া’ গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। এ ছবিতে অভিনয় করেছেন ফারুক, কবরী, আরিফুল হক, জহিরুল হকসহ আরও অনেকে। শহীদুল্লাহ কায়সারের উপন্যাস অবলম্বনে ‘সারেং বউ’ নির্মিত হয়। এ ছবিতে নবিতন চরিত্রে অভিনয়ে কবরী পেয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কার।
তিন কন্যা
একটি নারী প্রধান চলচ্চিত্র ‘তিন কন্যা’। ২০ নভেম্বর, ১৯৮৫ সালে ছবিটি মুক্তি পায়। এটি পরিচালনা করেছিলেন শিবলি সাদিক। ছবিটি বাবা হারানো ৩ বোনের কাহিনী নিয়ে নির্মিত হয়েছিল। তিন কন্যা ছবিতে প্রধান তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিন বোন সুচন্দা, ববিতা ও চম্পা। আরো অভিনয় করেছিলেন সোহেল রানা, ইলিয়াস কাঞ্চন।
ভাত দে
১৯৮৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আমজাদ হোসেনের পরিচালনায় ‘ভাত দে’ ছবিতে দেখা যায়, জরি একজন গরিব বাউলের মেয়ে। ছোটবেলায় অভাবের কারণে মা চলে যায়। অন্ধ বাউল বাবার অভাব-অনটনের সংসারে সে বড় হতে থাকে। জরি যখন বড় হয়, একদিন বাবাও ভাত জোগাড় করতে গিয়ে মারা যায়। এরপর শুরু হয় সহায়-সম্বলহীন এক দরিদ্র নারীর জীবন সংগ্রাম। আসে প্রেম ও অতঃপর করুণ পরিণতি। আলমগীর, শাবানা, আনোয়ার হোসেন অভিনীত সিনেমাটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ মোট ৯টি শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে। জরি চরিত্রে অভিনয় করে শাবানা তার সেরা চলচ্চিত্র দিয়ে ঘরে তুলে নেন জাতীয় পুরস্কার। এ ছাড়া বাংলা ছবির মধ্যে ‘ভাত দে’ প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেয়।
পালাবি কোথায়
‘পালাবি কোথায়’ কমেডিধর্মী ছবি। হাস্যরসাত্বক বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে কর্মজীবী নারীর অধিকারের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে এখানে। শাবানা, চম্পা ও সুবর্ণা মুস্তাফা চমৎকার অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শক মুগ্ধ করেছিলেন। হুমায়ূন ফরিদীর কমেডি অভিনয় ছবিটির প্রধান সম্পদ। শহীদুল ইসলাম খোকনের দক্ষ পরিচালনায় ছবিটি ১৯৯৬ সালে মুক্তি পেয়েছিলো।
মেয়েরাও মানুষ
১৯৯৭ সালে ‘মেয়েরাও মানুষ’ ছবিটি মুক্তি পায়। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন মনোয়ার খোকন। এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন প্রয়াত অভিনেতা জসিম ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবানা, কলকাতার ঋতুপর্ণা ও চাঙ্কিপাণ্ডে। ছবির গল্পটি ছিল, সমাজের নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে নারীরাও যে এগিয়ে যেতে পারে, তারাও সাফল্য বয়ে এনে সমাজ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারে তারই চিত্র। ছবিটি নারী প্রধান ছবি হিসেবে ঢাকাই ছবির ইতিহাসে আজও রেকর্ড বলা যায়।
মোল্লা বাড়ীর বউ
পুরোপুরি কমেডি ঘরানার ছবি হলেও এটি ছিলো ধর্মান্ধতার সমাজে নারীর অসহায়ত্ব ও নারীর লড়াইয়ের চিত্র। ‘মোল্লা বাড়ীর বউ’ ২০০৫ সালে মুক্তি পায়। এটি পরিচালনা করেছিলেন সালাহ উদ্দিন লাভলু। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন মৌসুমি, শাবনূর, রিয়াজ, এ টি এম শামসুজ্জামান প্রমুখ। এই ছবিতে রিয়াজের দুই বউয়ের চরিত্রে দেখা যায় মৌসুমি ও শাবনূরকে। যারা ছিল ছবির গল্পের প্রাণ।
হাঙর নদী গ্রেনেড
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের উপন্যাস অবলম্বনে ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সরকারি অনুদানে ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ ছবিটি পরিচালনা করেছেন চাষী নজরুল ইসলাম। মুক্তিযুদ্ধে নারীর ত্যাগ-তিতিক্ষার অসাধারণ রূপায়ণ এ ছবি। গল্পের কেন্দ্রে থাকে হলদি গাঁ আর সেই গ্রামের এককালের দস্যি মেয়ে বুড়ি। বয়সে অনেক বড় চাচাতো ভাই গফুরের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
বিয়ের ফলে রাতারাতি গফুরের আগের পক্ষের দুই ছেলে সলিম ও কলিমের মা হয়ে যায়। বুড়ির কোলে আসে নিজের সন্তান রইস। কিন্তু আর ১০টি শিশুর মতো স্বাভাবিক নয়। ১৯৭১ সালে কিছু মুক্তিযোদ্ধাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের সন্তানকেই মুক্তিযোদ্ধা বলে হানাদারদের হাতে তুলে দেন। সুচরিতা, সোহেল রানা, অরুণা বিশ্বাস অভিনীত এ ছবিটি চারটি বিভাগে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করে। বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম শক্তিশালী নারী চরিত্র বুড়ি চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় স্বরূপ জাতীয় পুরস্কার ঘরে তুলেন সুচরিতা।
মায়ের অধিকার
ব্যবসা সফল ছবি ‘মায়ের অধিকার’ হচ্ছে অন্যতম নারী প্রধান একটি ছবি। শিবলি সাদিক পরিচালিত এই ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৯৬ সালে। ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ববিতা। আরো অভিনয় করেছিলেন শাবানাজ, আলমগীর, সালমান শাহ, হুমায়ূন ফরিদী, নাছির খান প্রমুখ। মায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সন্তানের লড়াই ছবির গল্পে প্রাণ ছিল। তৎকালীন সময়ে ছবিটি রেকর্ড পরিমাণ ব্যবসা করে।
ম্যাডাম ফুলি
প্রয়াত নির্মাতা শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘ম্যাডাম ফুলি’ মুক্তি পায় ১৯৯৯ সালে। সিমলা অভিনীত প্রথম ছবি এটি। এ ছবিতে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন সিমলা। তিনিই প্রথম অভিনেত্রী যিনি তার অভিষেক চলচ্চিত্রেই শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এ ছবিটিও ছিল একটি নারীপ্রধান গল্পের।
নিরন্তর
হুমায়ূন আহমেদের গল্পে ‘নিরন্তর’ ছবিটি আবু সাইয়ীদ পরিচালনা করেন। এটি মুক্তি পায় ২০০৬ সালে। নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদ রচিত ‘জনম জনম’ উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটির চিত্রনাট্য ও সংলাপও লিখেছেন আবু সাইয়ীদ। এতে অভিনয় করেছেন শাবনূর, ইলিয়াস কাঞ্চন, আমিরুল হক চৌধুরী, ডলি জহুর, লিটু আনাম, শহীদুল আলম সাচ্চু প্রমুখ। এখানে একজন নারীর জীবনের করুণ সংগ্রামকে উপজীব্য করা হয়েছে। অন্ধ বাবা, বেকার যুবক ভাই ও অসুস্থ মায়ের সংসার চালাতে এক শিক্ষিত নারীর পতিতা হয়ে উঠার গল্প এখানে। সেই নারীর চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন শাবনূর।
আম্মাজান
১৯৯৯ সালে মুক্তি পেয়েছিলো কাজী হায়াত পরিচালিত ‘আম্মাজান’ ছবিটি। ছবিতে মান্নার ঠোঁটে আইয়ূব বাচ্চুর গাওয়া ‘আম্মাজান আম্মাজান’ গানটি পেয়েছিলো তুমুল জনপ্রিয়তা। ছবিটিও আকাশচুম্বী সফলতা লাভ করে। আম্মাজান ছবিতে মান্নার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শবনম পারভীন। সন্তানের সামনে মায়ের সম্ভম হানি ও তারই প্রতিশোধ নিতে মত্ত থাকা সন্তানের গল্পের ছবি ‘আম্মাজান’। মূলত মা ও নারীর প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শনের ছবি এটি। এখানে আরও অভিনয় করেছিলেন মৌসুমী, আমিন খান ও ডিপজল।
মাতৃত্ব
‘মাতৃত্ব’ ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি। পরিচালনা করেছেন জাহিদ হোসেন। একজন নারীর জীবনের সার্থকতা মাতৃত্বে। ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মৌসুমী। তার বিপরীতে ছিলেন হুমায়ুন ফরীদি। এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেই হুমায়ুন ফরীদি সেরা অভিনেতা শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। আরও অভিনয় করেন নাসিমা খান, প্রবির মিত্র, অমল বোস, সিরাজ হায়দার, শহিদুল আলম সাচ্চু।
বস্তির রানী সুরিয়া
বস্তির রানী সুরিয়া প্রখ্যাত বাংলাদেশী পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র যার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, সাদিকা পারভিন পপি, ডিপজল, মিশা সওদাগর, মেহেদি প্রমুখ। চলচ্চিত্রটির নির্মাণ ব্যয় ছিলো আশি লক্ষ টাকা। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এই সিনেমার সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল করে ও পুরো বাংলাদেশে এর প্রদর্শন নিষিদ্ধ করে। পরে ছবিটি কাটা ছেঁড়ার পর মুক্তি পেলেও বক্সঅফিসে ব্যবস্যাসফল হয়।
চার সতীনের ঘর
২০০৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল নারগিস আক্তার পরিচালিত চার সতীনের ঘর ছবিটি। রূপালি পর্দায় ‘চার সতীনের ঘর’ দেখেছে দর্শক। ছবিটিতে ববিতা, দিতি, শাবনূর ও ময়ূরী ছিলেন চার সতীন। তাদের স্বামীর ভূমিকায় অভিনয় করেন আলমগীর।
খাইরুন সুন্দরী
এ কে সোহেল পরিচালিত ‘খাইরুন সুন্দরী’ ছবিটি ২০০৭ সালে মুক্তি পায়। ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন মৌসুমী। তার স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফেরদৌস। এই ছবিটি রেকর্ড পরিমাণ ব্যবসা করে। একইসঙ্গে ছবিতে মমতাজের গাওয়া ‘খাইরুন লো...’ শিরোনামের গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। ছবির গল্পটি ছিল একজন নারীর প্রতি তার স্বামীর ভালোবাসা ও বিশ্বাস নিয়ে। গ্রামীন নারীরা পুরুষতান্ত্রিক সমাজে কেমন করে স্বামীর ভালোবাসা বঞ্চিত হয়ে করুণ পরিণতি বরণ করে নেয় তারই একটি গল্প ছিলো এখানে। এই ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য মৌসুমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
অগ্নি
আরিফিন শুভ ও মাহি অভিনীত প্রথম ছবি ‘অগ্নি’। মুক্তি পেয়েছিল ২০১৩ সালে। এ ছবির মাধ্যমেই প্রথমবারের মতো পুরোপুরি অ্যাকশনধর্মী নায়িকা হিসেবে দর্শকের সামনে আসেন মাহি। ছবিটিতে তুলে ধরা হয় এক নারীর লড়াইয়ের গল্প। পরে ২০১৫ সালে ছবিটি সিকুয়্যাল তৈরি হয়।
সুতপার ঠিকানা
২০১৫ সালের ৮ মে মুক্তি পায় ‘সুতপার ঠিকানা’ ছবিটি। একজন নারীর শৈশব থেকে বার্ধক্য পুরো জীবন কাটে বাবা, স্বামী, সন্তানদের আশ্রয়ে। এর মাঝেও কিছু নারী নিজের ঠিকানা খুঁজতে চেষ্টা করে। তেমনিই এক নারী সুতপা। সরকারি অনুদানে নির্মিত এ ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছে অপর্ণা ঘোষ। পুরো ছবি তিনি একাই টেনেছেন, কুমার বিশ্বজিতের সঙ্গীতায়োজন ছিল প্রশংসনীয়, ধারা বর্ণনায় আসাদুজ্জামান নূর অন্যরকম আবহ সৃষ্টি করেছে। ছবিটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কারও অর্জন করেছে।
বিজলী
১৬ এপ্রিল ২০১৮ সালে ঢাকাই সিনেমায় নতুন করে দৃষ্টি কাড়েন অ্যাকশনধর্মী নায়িকাকেন্দ্রিক সিনেমা ‘বিজলি’। পশ্চিমা ধাঁচের এ ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন ববি। এছাড়া ‘বিদ্রোহী পদ্মা’, ‘শাস্তি’, ‘সুভা’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘তিন কন্যা’, ‘মেয়েরাও মানুষ’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘মহুয়া সুন্দরী’, ‘বস্তির রানী সুরিয়া’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘মৌসুমী’, ‘চার সতীনের ঘর’, ‘রানী কেন ডাকাত’সহ আরও অনেক ছবি আছে যা নারী প্রধান হিসেবে ঢাকাই ছবিকে সমৃদ্ধ করেছে।
এছাড়াও ‘বিদ্রোহী পদ্মা’, ‘শাস্তি’, ‘শোভা’, ‘মহুয়া সুন্দরী’, ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’, ‘সুন্দরী বধু’, ‘মৌসুমী’, ‘রানী কেন ডাকাত’সহ আরও অনেক ছবি আছে যা নারী প্রধান হিসেবে ঢাকাই ছবিকে সমৃদ্ধ করেছে।
এমএবি/এমকেএইচ