বাংলার নাইটিঙ্গেল উমা বসুর জন্ম ও প্রয়াণ

মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।
২২ জানুয়ারি ২০২৩, রোববার। ৮ মাঘ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
উমা বসু
বাংলার সংগীত জগতের এক অবিস্মরণীয় সংগীত শিল্পী। ১৯২১ সালের ২২ জানুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা ছিলেন খ্যাতনামা স্থপতি এবং কলকাতা পৌরসভার কাউন্সিলর প্রভা বসু (মিত্র) এবং মা গৃহিণী ধরণী বসু। আচার্য দিলীপকুমার রায়, ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়ের ছাত্রী ছিলেন উমা বসু। ১৩ বছর বয়সে গাওয়া রবীন্দ্রনাথের দুটি গান সেই ভাল, সেই ভাল এবং তোমার সুর শুনায়ে যে ঘুম ভাঙ্গাও দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের তত্ত্বাবধানে রেকর্ড করা হয়। মহাত্মা গান্ধী তার সংগীতে মুগ্ধ হয়ে তাকে ‘নাইটিঙ্গেল অব বেঙ্গল’ নামে আখ্যা দেন। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু গান হলো-আজ ফাগুনের প্রথম দিনে, আকাশের চাঁদ মাটির ফুলেতে, রূপে বর্ণে গন্ধে, কে তোমারে জানাতে পারে, জীবনে মরণে এসো, চাঁদ কাহে চামেলি গো হে নিরুপমা, ঝরানো পাতার পথে, নীল পরী, আঁধারের দরেই গাঁথা, প্রকৃতির ঘোমটাখানি খোল ইত্যাদি। মাত্র ২১ বছর বয়সে ১৯৪২ সালে ২২ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
ঘটনা
১৭৬০- ভারতে অধিকার নিয়ে ইংরেজ ও ফরাসিদের মধ্যে ওয়ান্ডিসে যুদ্ধ শুরু হয়।
১৯২৭- প্রথমবারের মতো বেতারে ফুটবল খেলার ধারাবিবরণী প্রচার।
১৯৭২- বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় যুগোস্লাভিয়া।
১৯৭৩- নাইজেরিয়ায় যাত্রীবাহী বিমান ৭০৭ বিধ্বস্ত হলে ১৭৬ জন আরোহীর সবাই প্রাণ হারায়।
জন্ম
১৫৬১- ইংরেজ দার্শনিক ফ্রান্সিস বেকন।
১৭৮৮- অ্যাংলো-স্কটিশ কবি লর্ড বায়রন।
১৮৯৭- কবি, গায়ক, সুরকার ও লেখক দিলীপকুমার রায়।
১৯২১- ভারতীয় গায়িকা সুধাকণ্ঠী উমা বসু (হাসি)।
১৯৭৭- জাপানী ফুটবলার হিদেতোশি নাকাতা।
মৃত্যু
১৬৬৬- পঞ্চম মুঘল সম্রাট সম্রাট শাহজাহান।
১৯০১- ভারত সম্রাজ্ঞী এবং ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়া।
১৯৪২- মরমী সংগীত শিল্পী উমা বসু (হাসি)।
১৯৯৬- ভারতীয় বাঙালি বৈমানিক ও লেখক বীরেন রায়।
কেএসকে/এমএস