স্বপ্ন হওয়া চাই আকাশ ছোঁয়া

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৫ এএম, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

মো: নাজমুল হাসান তপু

স্বপ্ন যখন তারুণ্যের, স্বপ্ন হওয়া চাই আকাশ ছোঁয়া, বিশ্ব জয়ের। সেই স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে চলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ঝাঁক তরুণ শিক্ষার্থী। স্বপ্ন তাদের দেশের বাইরে বৃত্তি নিয়ে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা করা। সেই স্বপ্নের বীজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে দেওয়ার ব্রতে তাদের কর্মঠ পরিকল্পনা ও কাজের ধারা অবিরাম চলছে।

এর শুরুটা হয় বছর দুয়েক আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার ও ইসলামি ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফ হাসানের গবেষণার প্রতি তীব্র কৌতূহলের মাধ্যমে। ইউরোপ-আমেরিকাতে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ তাদের। সেই সুবাদে তারা দুজন যুক্ত হন স্কলারশিপ স্কুল বিডির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভলেন্টিয়ার হিসেবে। ক্যাম্পাসের অসংখ্য শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে গবেষণা, বৃত্তি ও উচ্চ শিক্ষার তথ্য ঘাটতি থাকার কারণে পাশ করে বের হওয়ার পরও তারা ক্যারিয়ারের সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি করে ফেলছে। এই তথ্য ঘাটতি পূরণের উদ্দেশ্যে শুরু হলো ফারজানা ও মারুফের অবিরাম কর্মযজ্ঞ। পেছনে থেকে এসব শিক্ষার্থীদের অবিরাম তথ্য প্রদান, উৎসাহ ও সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা করতেন কানাডায় পিএইচডি গবেষক ও স্কলারশিপ স্কুল বিডির প্রতিষ্ঠাতা মো: নাজমুল হাসান তপু। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী।

jagonews24

আরও পড়ুন: অমীমাংসিত মুহুরীর চরে ক্রিকেটের জয়গান

বিভিন্ন দেশের বৃত্তির তথ্য, দেশের বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রফেসরদের সঙ্গে গবেষণা নিয়ে ই-মেইলে কথোপকথন করার উপায়, স্নাতক শিক্ষার্থীদের গবেষণা শুরু করার উপায় সহ অন্যান্য আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের তথ্য মারুফ ও ফারজানা ক্যাম্পাসে তাদের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে শুরু করে। এসব তথ্য তারা সংগ্রহ করতেন কানাডায় থাকা পিএইচডি গবেষক মো: নাজমুল হাসান তপুর কাছ থেকে। ধীরে ধীরে তাদের বিভাগের বন্ধুদের ছাড়িয়ে ক্যাম্পাসের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝেও এ তথ্য আদান প্রদান শুরু হয়ে যায়। সময় পেলেই মারুফ ও ফারজানা ক্লাস শেষে ক্যাম্পাসে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও বৃত্তির বিষয়ে আলোচনা করতেন।

এক বছর পর আগ্রহী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা এতো বেশি হয়ে যায়, যে দুজনের পক্ষে ক্যাম্পাসে এই কার্যক্রম চালানো দুরুহ হয়ে পড়ে। এরপর স্কলারশিপ স্কুল বিডির প্রতিষ্ঠাতা মো: নাজমুল হাসান তপুর পরামর্শে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ক্যাম্পাস কমিটি গঠন করা হয়। উদ্দেশ্য এই কার্যক্রমকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা। বর্তমানে স্কলারশিপ স্কুল বিডির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস কমিটির সভাপতি সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার ও সহসভাপতি ইসলামি ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফ হাসান। এছাড়াও কমিটিতে রয়েছে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুজন মাহমুদ ও ফৌজিয়া মুক্তা, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতিন তাজরি, শামসুন সাবা, হুমায়রা খাদিজা, পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী তানভীর হোসেন ফাহিম সহ আরও অনেকেই।

jagonews24

সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ স্কুল বিডির বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয় গত ২৮ জানুয়ারি, কলাভবন প্রাঙ্গনে অপরাজেয় বাংলার সামনে। এসময় তারা বিভিন্ন দক্ষতার গুরুত্ব ও স্কলারশিপ স্কুল বিডির মাধ্যমে গবেষণা, দক্ষতা ও বৃত্তি সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য লাভের নানা পন্থা নিয়েও আলোচনা করেন। এছাড়াও উচ্চশিক্ষার পথ মসৃণ করতে শিক্ষার্থীদের যেভাবে প্রস্তুত হওয়া দরকার সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এসময় অনেক উৎসাহী শিক্ষার্থী স্কলারশিপ স্কুল বিডির ক্যাম্পাস এম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগের ব্যাপারে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করে।

সভার আলোচনা শেষে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মাঝে আইইএলটিএস বই প্রীতি উপহার হিসেবে বিতরণ, দুপুরের খাবার সরবরাহ ও স্মারক সম্মাননা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটির পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন স্কলারশিপ স্কুল বিডির প্রতিষ্ঠাতা মো: নাজমুল হাসান তপু। স্কলারশিপ স্কুল বিডি একটি কানাডা ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যা বিনামূল্যে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদেরকে বিদেশে উচ্চশিক্ষা, বৃত্তি, গবেষণা, নেতৃত্ব-দক্ষতা অর্জন ইত্যাদি বিষয়ে সহযোগিতা করে থাকে।

মারুফ ও ফারজানা দুজনেরই দৃঢ় প্রত্যয় একদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীর দোর গোড়ায় বৃত্তি, গবেষণা ও উচ্চ শিক্ষার তথ্য পৌঁছে যাবে। ফলে একজন শিক্ষার্থীকেও তথ্য বিভ্রাটের শংকায় পড়তে হবে না। তাদের এই প্রত্যয়কে কাজে রূপ দিতে বটবৃক্ষের ন্যায় সার্বক্ষণিক পৃষ্ঠপোষকতা করছেন স্কলারশিপ স্কুল বিডির প্রতিষ্ঠাতা তপু।

কেএসকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।