গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে করোনা কিট উৎপাদনের অনুমতি দেয়া হয়নি!

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:১৫ পিএম, ১৯ মার্চ ২০২০

করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট উৎপাদনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে অনুমতি দেয়া হয়নি— জানিয়েছেন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট তৈরির জন্য শর্তসাপেক্ষে তাদের কাঁচামাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। উৎপাদনের অনুমতি দেয়ার বিষয়টি ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের নেই।

করোনাভাইরাস শনাক্তে কিট উৎপাদনে সরকারের অনুমোদন পেয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র’— বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি উল্লেখ করা হয়। সেখানে গণস্বাস্থ্যে কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আজ সরকারের কাছ থেকে করোনার কিট তৈরির অনুমোদন পেয়েছি। এর কাঁচামাল যুক্তরাজ্য থেকে আসতে সাতদিনের মতো সময় লাগবে। কাঁচামাল এলেই আমরা উৎপাদনে যাব।’

গত বুধবার (১৮ মার্চ) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র করোনার কিট তৈরির ঘোষণা দেয়। প্রতিষ্ঠানটি থেকে দাবি করা হয়, স্বল্পমূল্যের ওই কিট দিয়ে মাত্র ১৫ মিনিটে করোনা শনাক্ত করা সম্ভব। ওই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন ড. বিজন কুমার শীল। সাশ্রয়ী মূলে অর্থাৎ মাত্র ৩০০ টাকায় এ কিট ব্যবহার করে করোনার পরীক্ষা করা যাবে বলে দাবি করে প্রতিষ্ঠানটি।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচার হচ্ছে। কাঁচামাল আমদানির অনুমতি আর কিট উৎপাদনের অনুমতি এক কথা নয়। কাঁচামাল আমদানির পর তারা কিট উৎপাদনে সফল হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করবে। বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাইসাপেক্ষে মানোত্তীর্ণ হলে তবেই অনুমতি প্রদান করা হবে।

বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাস সম্পর্কিত প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ‘করোনা কিট উৎপাদনের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে— এমন কোনো তথ্য জানা নেই’ বলে জানান।

এমইউ/এমএআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।