করোনায় ডাক্তার-নার্সের মতো মেডিকেল টেকনোলজিস্টও নিয়োগের দাবি

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:০৬ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০২০

 

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার আট হাজার চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেবে বলে জানানোর পর একইভাবে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগেরও দাবি উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ দাবি তুলেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মো. সেলিম মোল্লা।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিন উপস্থাপনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, শিগগির দুই হাজার চিকিৎসক ও ছয় হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হবে। বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন করে এই আট হাজার চিকিৎসক-নার্স নিয়োগ দেবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে সেলিম মোল্লা বলেন, দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার সাথে সাথে ভাইরাসটি শনাক্তকরণে আক্রান্ত ও সন্দেহভাজন রোগীর নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আসছেন সরকারি পর্যায়ে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা। সরকারি হাসপাতালে কর্মরত স্বল্প সংখ্যক মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে স্বল্প পরিসরে এ কার্যক্রম সম্ভব হলেও বর্তমানে রোগীর সংখ্যা এবং পরীক্ষা কেন্দ্র বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের দিয়ে সুষ্ঠুভাবে এ কাজ অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

‘সরকার করোনা মোকাবিলায় দেশের স্বার্থে দুই হাজার ডাক্তার এবং ছয় হাজার নার্স নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিলেও করোনা যুদ্ধের প্রথম সারির সৈনিক মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নিয়োগের বিষয়টি উপেক্ষিত হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক।’

তিনি বলেন, মেডিকেল টেকনোলজিস্টরাই সর্বপ্রথমে রোগীর নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরে ডাক্তার চিকিৎসা এবং নার্স সেবা প্রদান করে থাকেন। কাজেই ডাক্তার ও নার্স নিয়োগের পাশাপাশি মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নিয়োগ প্রদান করা অত্যাবশ্যকীয়। পর্যাপ্ত সংখ্যক মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ না হলে করোনা মোকাবিলায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এমতাবস্থায় ১৫ হাজার বেকার মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে অবিলম্বে নিয়োগ করার দাবি জানান সেলিম মোল্লা।

এমইউ/এইচএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।