২৬ শতাংশ করোনা রোগী বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৩৭৩ জন করোনা রোগী স্বাস্থ্য অধিদফতরের টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করেছেন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৯১৭ জনকে মেডিকেল অ্যাসেসমেন্ট (স্বাস্থ্যগত মূল্যায়ন) ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। ফলোআপ কলের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে ১ হাজার ৪৭৯ জনকে। আর ইনকামিং কলের মাধ্যমে ৯৭৭ জনকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে।
৪ হাজার ৩৭৩ জন রোগীর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অল্প ঝুঁকিপূর্ণ রোগীর শতকরা হার ৬০ দশমিক ৪২ শতাংশ, মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ রোগী ছিলেন ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং অতি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিলেন ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
মেডিকেল অ্যাসেসমেন্টের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, করোনাসহ বিভিন্ন জটিলতায় আক্রান্ত এমন রোগীর সংখ্যা ছিল ২৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ, শুধুমাত্র করোনায় আক্রান্ত এমন রোগীর সংখ্যা ৭৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং যারা বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তাদের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন শতকরা ২০ শতাংশ, উচ্চ রক্তচাপে ১১ শতাংশ, অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ৪ শতাংশ, হৃদরোগে ৪ শতাংশ এবং কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিলেন ৩ শতাংশ।
সোমবার (১০ আগস্ট) দুপুরে করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত বুলেটিনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা।
টেলিমেডিসিন সেবার আরও বিশ্লেষণ তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা বলেন, যারা (৪ হাজার ৩৭৩ জন) কল করেছিলেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ৬৭ শতাংশ এবং নারী ৩৩ শতাংশ। মোট কলের ২২ শতাংশ ছিল করোনাভাইরাস সম্পর্কিত, ২১ শতাংশ ভাইরাস জ্বর সংক্রান্ত, ১০ শতাংশ শুকনা কাশি, ৮ শতাংশ গলাব্যথাজনিত কল। বেশিরভাগ কল ছিল ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগ থেকে। এ পর্যন্ত টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করেছেন ১ লাখ ৮৬ হাজার ৭১৪ জন।
হটলাইন কলের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় হটলাইনে ফোনকল রিসিভ হয়েছে ৬৩ হাজার ৮৫টি। এর মধ্যে স্বাস্থ্য বাতায়নে (১৬২৬৩) ১০ হাজার ৪১০টি, ৩৩৩ হটলাইনে ৫২ হাজার ২৭৯টি এবং আইইডিসিআরের (১০৬৫৫) হটলাইনে ৩৯৬টি। এ পর্যন্ত ফোনকলের সংখ্যা ১ কোটি ৮৫ লাখ ৮৭ হাজার ৭২৮টি।
পিডি/এমএসএইচ/এমকেএইচ