২৪ ঘণ্টায় টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণকারীদের ২.৩৬% অতি ঝুঁকিতে
সার্ভার জটিলতার কারণে গত ২৪ ঘণ্টার টেলিমেডিসিন সেবা ব্যাহত হয়েছে। সে কারণে কম টেলিমেডিসিন সেবা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ অবস্থায় গত ২৪ ঘণ্টায় টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করেছেন ১ হাজার ৬৭৮ জন করোনা রোগী।
এসব রোগীকে বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সেখানে অল্প ঝুঁকিপূর্ণ ছিলেন ৮৫ দশমিক ১৪ শতাংশ, মধ্যম ঝুঁকিতে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং অতি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিলেন ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) দুপুরে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বুলেটিনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, গতকাল মেডিকেল অ্যাসেসমেন্ট ও চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে ৩১০ জনকে এবং ফলোআপ কলের চিকিৎসা সেবা ছিল ৮২টি। ইনকামিং কলের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে ১ হাজার ২৮৬টি। সর্বমোট সেবা দেয়া হয়েছে ১ হাজার ৬৭৮ জনকে।
ডা. নাসিমা সুলতানা আরও বলেন, করোনাকালীন মা টেলিহেলথ কেয়ার সেন্টার চালু আছে। যার মাধ্যমে গর্ভবতী মা ও শিশুদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা প্রদান, কাউন্সিলিং করা হয়। এই টেলিমেডিসিন সেন্টার থেকে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৩৯৫ জন গর্ভবতী মা ও শিশুকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। যার মধ্যে ২০৬ জন করোনা আক্রান্ত গর্ভবতী মাকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে।
মেডিকেল অ্যাসেসমেন্টের তথ্যানুযায়ী, শারীরিক বিভিন্ন ধরনের জটিলতায় আক্রান্ত রোগী ছিলেন ২০ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং শুধুমাত্র করোনায় আক্রান্ত ছিলেন ৭৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ। যারা বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত, তাদের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন ৪৯ দশমিক ২১ শতাংশ, উচ্চ রক্তচাপে ৩৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ, অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টে ১৯ দশমিক ০৫ শতাংশ, হৃদরোগে ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিলেন ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ।
গত যাদের ফলোআপ অ্যাসেসমেন্ট হয়েছে, তাদের মধ্যে মৃত ব্যক্তি ছিলেন একজন। যিনি মৃত্যুবরণ করেছেন তার বয়স ছিল ৫০ বছর। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। যারা কল দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে ৬৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৩ শতাংশ নারী। এছাড়া কলের ২৩ শতাংশ করোনাভাইরাস সংক্রান্ত, ২০ শতাংশ ভাইরাস জ্বর সংক্রান্ত, ১০ শুকনা কাশি, ৮ শতাংশ গলা-ব্যথা জনিত কল ছিল বলেও জানান নাসিমা সুলতানা।
সার্ভার সমস্যার ব্যাপারে নাসিমা সুলতানা বলেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় ২৪ ঘণ্টায় টেলিমেডিসিন সেবা কম হওয়ার কারণ হলো গতকাল (১০ আগস্ট) সার্ভারের যে সমস্যা ছিল, এ কারণে সেবাটি ব্যাহত হয়েছে এবং অনেক কম রোগীকে এ সেবা দেয়া গেছে।
হটলাইনের সেবার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, হটলাইনে গত ২৪ ঘণ্টায় ফোনকলের সংখ্যা ৬৩ হাজার ৩৬৩টি ফোন। এর মধ্যে স্বাস্থ্য বাতায়নে ১০ হাজার ৭৭৩টি, ৩৩৩-এই হটলাইনে ৫২ হাজার ১৮৯টি এবং আইইডিসিআরের (১০৬৫৫) ৪০১টি ফোনকল এসেছে। এ পর্যন্ত হটলাইনে মোট ফোনকলের সংখ্যা ১ কোটি ৮৬ লাখ ৫১ হাজার ৯১টি।
পিডি/এমএসএইচ/এমএস