করোনার চিকিৎসায় বিএসএমএমইউর গবেষণা : ‘নেচার’-এর স্বীকৃতি

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৫:৫১ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২০

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি কতটা কার্যকর ও নিরাপদ তা নির্ণয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চলমান গবেষণাটির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি মিলেছে। বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী ‘নেচার’-এ বিশ্ববিদ্যালয়ের এ গবেষণার মুখপাত্রের বক্তব্য উল্লেখ করার মধ্য দিয়ে এটির বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃতি পেল।

বুধবার (২৬ আগস্ট) বিএসএমএমইউ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন দাবি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী ‘নেচার’র পক্ষ থেকে বিএসএমএমইউ’র কনভালাসেন্ট প্লাজমা থেরাপি বিষয়ে চলমান গবেষণার প্রধান গবেষক ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান এবং মুখপাত্র ডা. ফজলে রাব্বি চৌধুরীর সঙ্গে ইন্টারভিউর জন্য যোগাযোগ করা হয়।

কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপির চলমান গবেষণাসমূহের মধ্যে বিশ্বের মাত্র দুটি গবেষণা দলের কাছ থেকে সাময়িকীটি ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে মতামত গ্রহণ করে, যার মধ্যে বিএসএমএমইউ’র নেতৃত্বে দেশের ৫টি প্রতিষ্ঠানের ১১ সদস্যবিশিষ্ট গবেষক দলের পরিচালনাধীন গবেষণাটি অন্যতম।

‘নেচার’র পক্ষ থেকে সিনিয়র রিপোর্টার হেইডি লেডফোড অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান এবং ডা. ফজলে রাব্বি চৌধুরীর ইন্টারভিউ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ‘নেচার’ নিউজে গবেষক দলের মুখপাত্র ডা. ফজলে রাব্বি চৌধুরীর বরাতে চলমান গবেষণার বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ বর্ণনা করা হয়।

সেখানে ডা. রাব্বি বলেন, বিভিন্ন মানুষের মধ্যে অ্যান্টিবডির মাত্রায় বিশাল পার্থক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যেটি গবেষণা পরিচালনাকে চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। প্লাজমা থেরাপির কার্যকারিতা সুনির্দিষ্ট করে প্রমাণের জন্য নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি পরিমাপের প্রয়োজন, যেটির সুযোগ পৃথিবীর অনেক দেশেই নেই। একইসঙ্গে এটি ব্যয়বহুল এবং উন্নত নিরাপত্তা সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ল্যাবরেটরি ছাড়া করা সম্ভব নয়। তাই প্লাজমা থেরাপি শুধুমাত্র গবেষণা অর্থাৎ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সেটিংয়েই ব্যবহার করা উচিত।

এমইউ/এফআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।