করোনাকালে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৪৭ এএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০

করোনাকালে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংসদ সদস্যসহ পরিবার পরিকল্পনা বিশেষজ্ঞরা। ‘করোনাকালে নারী ও কিশোরীর প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনলাইন সংলাপে নারী ও কিশোরীদের জরুরি প্রজনন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করতে তারা সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।

বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মেরি স্টোপস বাংলাদেশ ও টিম অ্যাসোসিয়েটস আয়োজিত সংলাপে অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার ও অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার। সাংবাদিক নিখিল ভদ্রের সঞ্চালনায় ওই সংলাপে অংশ নেন মেরি স্টোপস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাশরুরুল ইসলাম, স্ট্রেনদেনিং ফ্যামিলি প্লানিং সার্ভিস থ্রু অ্যাডভোকেসি ইনিশিয়েটিভের ফোকাল পার্সন মনজুন নাহার, স্কাস চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা, সিরাক-এর নির্বাহী পরিচালক এস এম সৈকত, প্রবাস দর্পণ সম্পাদক রূপচাঁদ দাশ রুপক, পার্লামেন্টনিউজ সম্পাদক সাকিলা পারভীন, সমকালের সাজিদা ইসলাম পারুল, এটিএন নিউজের শরফুল আলম প্রমুখ।

সংলাপে করোনাকালে নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য সেবায় সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার। তিনি বলেন, একটি গর্ভপাতও যাতে ঝুঁকির মুখে না পড়ে সে জন্য সকল পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে সক্রিয় করা হয়েছে। সেবা দিতে মাঠকর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। প্রসবকালীন ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার বলেন, শুধু প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা নয়, নারীর সকল প্রকার অধিকার নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার প্রযোজনীয় সকল পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকার কার্যকর পদক্ষেপের ফলে দেশে মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার কমেছে। এই করোনা পরিস্থিতির শুরুতে গর্ভবতী মা ও নবজাতক শিশুদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ চলছে।

মাশরুরুল ইসলাম বলেন, সারা বিশ্বে করোনার কারণে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে আগামী দিনগুলোতে শিশু ও মাতৃমৃত্যু বাড়ার আশংকা রয়েছে। কারণ পরিবার পরিকল্পনা সেবার প্রায় ১০ শতাংশ কমে যেতে পারে। ইতোমধ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার কমেছে ও বেড়েছে অনিরাপদ গর্ভপাত। প্রসব পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা সেবা মারাত্নকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এই সময়ে বাল্য বিবাহ ও নারী নির্যাতনের হার বেড়েছে বলে বিভিন্ন সংস্থার জরিপ ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য তিনি উল্লেখ করেন।

বক্তারা বলেন, করোনাকালে শিশুর জন্ম ও পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গর্ভবতী ও নতুন মায়েদের কাছে পৌঁছাতে হবে। প্রত্যন্ত এলাকার মায়েদেরকে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে অথবা টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা নিতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। কোথাও স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ থাকলে সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিষ্কার বার্থ কিটের প্রশিক্ষণ, সুরক্ষা ও জোগান দিতে হবে। মা ও শিশু স্বাস্থ্যের জন্য জীবন রক্ষাকারী সেবা ও জোগানের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখতে হবে।

এইচএস/এমএসএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।