৫ শতাংশে নামল করোনা শনাক্তের হার

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারাদেশে করোনার নমুনা পরীক্ষার হিসেবে নতুন রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশে নেমেছে। সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি ১৮১টি ল্যাবরেটরিতে ১৪ হাজার ৬৮টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৩ হাজার ৬৮১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হন ৭৮৫ জন। নমুনা পরীক্ষার হিসেবে শনাক্তের হার ৫.৭৪ শতাংশ।
শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত বছরের মার্চ মাসে দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ লাখ ৩১ হাজার ৪৯১টি এবং মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ২০ হাজার ৬৯০ জন। এ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ১৫.৬৩ শতাংশ।
রোগতত্ত্ববিদ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলে আসছিলেন, মোট নমুনা পরীক্ষা হিসেবে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ বা তার নিচে নেমে এলে এবং পর পর চার সপ্তাহ তা অব্যাহত থাকলে করোনা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং সংক্রমণ বৃদ্ধির তেমন সম্ভাবনা নেই বলে ধরে নেয়া যাবে।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৩ ও নারী ৩ জন। সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭ হাজার ৭৩৪ জনে।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় মোট সুস্থ হন ৮৩৩ জন। এতে মোট সুস্থ হন ৪ লাখ ৬৫ হাজার ২৭৯ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯.০৩৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৪৯ শতাংশ।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ও ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট মৃত্যু ৭ হাজার ৭৩৪ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ৮৮০ (৭৬.০৩ শতাংশ) ও নারী ১ হাজার ৮৫৪ জন (২৩.০৯৭ শতাংশ)।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৬ জনের মধ্যে শূন্য থেকে দশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১৪ জন রয়েছেন।
বিভাগীয় হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৬ জনের মধ্যে ঢাকায় ১২ জন, চট্টগ্রামে দুইজন, খুলনায় একজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের একজন রয়েছেন।
এমইউ/এমএইচআর/জিকেএস