করোনা ভ্যাকসিনের নিবন্ধন যেভাবে
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সবাই এখন ভ্যাকসিনের অপেক্ষায়। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট আগামী ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রথম ধাপে ভ্যাকসিন পাঠাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ভ্যাকসিনের সব কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ে ‘ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড ভ্যাকসিনেশন প্ল্যান ফর কোভিড ভ্যাকসিন ইন বাংলাদেশ’ ডকুমেন্টের বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি ভ্যাকসিনের নিবন্ধ প্রক্রিয়া বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সভায় বলা হয়, ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইন নিবন্ধন, ভ্যাকসিন কার্ড, সম্মতিপত্র, ভ্যাকসিন সনদ প্রদানে আইসিটি বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের মাধ্যমে ‘সুরক্ষা ওয়েবসাইট’ তৈরি করা হয়েছে। ভ্যাকসিন নিতে হলে নাগরিকদের অনলাইনের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর যথাযথ নিয়ম মেনে ভ্যাকসিন গ্রহণ করা যাবে। একটি অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে, যার মাধ্যে ভ্যাকসিন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
নিবন্ধন প্রক্রিয়া
প্রথমে আগ্রহী ব্যক্তিকে স্মার্ট মোবাইল ফোনে করোনা ভ্যাকসিনের অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। এরপর নাম, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, পেশাসহ বিস্তারিত তথ্য দিয়ে অ্যাপে নিবন্ধন করতে হবে। অ্যাপে ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি ডিজিটাল কার্ড পাওয়া যাবে।
করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণকারীকে এই কার্ডটি নিয়ে নির্দিষ্ট দিনে ভ্যাকসিনকেন্দ্রে আসতে হবে। নিবন্ধন করতে একজন ব্যক্তির ৫ থেকে ৬ মিনিট সময় লাগবে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন যাতে সুন্দরভাবে দেয়া যায় সেজন্য একটি অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে। এটি তৈরি করছে আইসিটি মন্ত্রণালয়। আমরা সেজন্য সহযোগিতা করছি। সে অ্যাপের মাধ্যমে যিনি ভ্যাকসিন নিতে পারবেন, তিনি নিবন্ধন করবেন এবং সেখানে কিছু তথ্য দেয়ার বিষয় আছে, তিনি তথ্য দিলে নিবন্ধন হয়ে যাবে। পরে তাকে একটি সময় ও জায়গা বলে দেয়া হবে। সেখানে সময়মতো উপস্থিত হলে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন।
আইএইচআর/এমএসএইচ/এমএস