সীমিত ব্যবহারে অনুমোদন পেল বুয়েটের ‘অক্সিজেট’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:২৫ এএম, ২৯ জুলাই ২০২১

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) উদ্ভাবিত অক্সিজেটের সীমিত আকারে উৎপাদন ও ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বুয়েটের নির্ধারিত ল্যাবরেটরিতে তৈরি করতে হবে। তবে ডিভাইসটি উৎপাদনে সাড়া মিলছে না বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

বুয়েটের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌফিক হাসান বৃহস্পতিবার জাগো নিউজকে বলেন, তিন ধাপে পরীক্ষায় সফল হওয়ার পর ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর আমাদের প্রাথমিকভাবে ২০০ ইউনিট উৎপাদন করার অনুমোদন দিয়েছে।

তিনি বলেন, এ জন্য বেশকিছু শর্ত দেয়া হয়েছে। সেসব শর্ত মেনে সকল ডিভাইস তৈরি করতে হবে। হাসপাতালে এসব ডিভাইস ব্যবহারে কী ফলাফল আসে তা তিন মাস পর আমাদের রিপোর্ট জামা দিতে হবে। রিপোর্ট ভালো হলে চাইলে এরপর আরও বেশি উৎপাদনের অনুমোদন দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

এই শিক্ষক বলেন, হাসপাতালে বিভিন্ন ট্রায়ালে অক্সিজেট সফলভাবে কাজ করলেও এখনও এটির মার্কেট তৈরি করা সম্ভব হয়নি। এটি উৎপাদনে তেমন কেউ এগিয়ে আসছেন না। সকলের অক্সিজেট প্রয়োজন হবে না। প্রতি হাসপাতালে যদি ১০টি করে এই ডিভাইস বসানো হয় তবে সারাদেশে পাঁচ থেকে ছয় হাজার বসালে আর হয়তো আমাদের প্রয়োজন হবে না। সে জন্য তেমনভাবে কেউ আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

তিনি বলেন, সমাজসেবা হিসেবে আমরা কাউকে কাউকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছি। ঔষধ প্রশাসনে অনুমোদনে জটিলতা থাকায় তারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এ কারণে আমরা হয়তো ২০০টি তৈরির পর কেউ এগিয়ে না এলে আর নাও বানাতে পারি। এগুলো আগামী দুই মাসের মধ্যে তৈরি করে বিভিন্ন হাসপাতালে স্থাপন করা হবে।

এই গবেষক আরও বলেন, আমরা চাই অক্সিজেনের উচ্চমূল্য যেন চিকিৎসার অন্তরায় না হয়। অক্সিজেটের মাধ্যমে অত্যন্ত স্বল্পখরচে উচ্চচাপের অক্সিজেন উৎপাদন করা যাবে।

দেখা গেছে, প্রায় ১০ মাস গবেষণার পর সিপ্যাপ ভেন্টিলেটর যন্ত্র আবিষ্কার করেন বুয়েটের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি দল। যার নাম দেয়া হয় অক্সিজেট। অক্সিজেটের পুরো বিষয়টির তত্ত্বাবধান করেন ড. তৌফিক হাসান।

যন্ত্রটি সহজে ব্যবহার ও বহনযোগ্য। এটি পরিচালনায় বিদ্যুতেরও প্রয়োজন হয় না। গত মে মাসে ঢাকা মেডিকেল কলেজে অক্সিজেটের তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়।

এমএইচএম/বিএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।