সপ্তাহে করোনার সব সূচকই নিম্নমুখী
সপ্তাহের ব্যবধানে করোনাভাইরাসের নির্দেশক সব সূচকেরই যেমন- নমুনা পরীক্ষা, নতুন রোগী শনাক্ত, সুস্থ হয়ে উঠা রোগীর সংখ্যা এবং মৃত্যুহারে নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। পূর্ববর্তী সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষা ১০ দশমিক ১ শতাংশ, শনাক্ত ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ, সুস্থতা ৩০ দশমিক ২ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ২৭ দশমিক ৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
চলতি বছরের করোনা সংক্রমণের ইপিডেমিওলজিক্যাল ৩৯তম সপ্তাহে (২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত) রাজধানীসহ সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে মোট ১ লাখ ৭৫ হাজার ৩৪০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। একই সময়ে পরীক্ষায় আক্রান্ত হিসেবে ৬ হাজার ৬১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ২৭৫ জন ও মারা গেছেন ১৫৯ জন।
৪০তম সপ্তাহে (৪ অক্টোবর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত) ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭০৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হন ৪ হাজার ৩৯৫ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৭৯ জন ও মারা গেছেন ১১৫ জন।
সোমবার (১১ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (চিফ কোভিড ইউনিট) ডা. মোহাম্মদ ইউনুস স্বাক্ষরিত করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সরকারি-বেসরকারি ৮২১টি ল্যাবরেটরিতে ২৪ হাজার ১৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে শনাক্তে মোট ৯৯ লাখ ৭৫ হাজার ৩৮৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হলো।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। সোমবার পর্যন্ত সর্বমোট নমুনা পরীক্ষার ভিত্তিতে শনাক্ত রোগীর হার ১৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৩৪ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ২৪ হাজার ৪৬৭ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১১ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ তিনজন, ষাটোর্ধ্ব দুইজন, সত্তরোর্ধ্ব একজন ও ৯০ বছরের বেশি বয়সী একজন রয়েছেন।
বিভাগওয়ারি হিসাবে দেখে গেছে, ১১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সাতজন, খুলনায় একজন, বরিশালে দুইজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
এমইউ/এমআরআর/এমএস