করোনায় মৃত্যু কমলেও কোমোরবিডিটিজনিত মৃত্যুহার বেড়েছে
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা পূর্ববর্তী এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহের তুলনায় কমলেও ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপসহ অন্যান্য কোমোরবিডিটিজনিত মৃত্যুহার বেড়েছে।
এপিডেমিওলজিক্যাল ৩৯তম সপ্তাহে (২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর) করোনায় মোট ১৫৯ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে ৮৮ জন (৫৫ দশমিক ৩ শতাংশ) রোগীর কোমোরবিডিটি ছিল। ৪০তম সপ্তাহে (৪-১১ অক্টোবর) মৃত্যুসংখ্যা কমে ১১৫ জন হলেও তাদের মধ্যে ৬৮ জন (৫৯ দশমিক ১ শতাংশ) কোমোরবিডিটিজনিত কারণে মারা যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমাজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহে মোট মৃত ১১৫ জনের মধ্যে পুরুষের তুলনায় নারীর মৃত্যু বেশি হয়। এ সময়ে পুরুষ ৪৮ জন ও ২ জন গর্ভবতীসহ ৫৯ জন নারীর মৃত্যু হয়। পুরুষ ও নারীর মৃত্যুহার যথাক্রমে ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ৫১ দশমিক ৩ শতাংশ।
৪০তম সপ্তাহে কোমোরবিডিটিজনিত কারণে যে ৬৮ জনের মৃত্যু হয় তাদের মধ্যে ডায়াবেটিসে ৬০ দশমিক ৩ শতাংশ, উচ্চরক্তচাপ ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ, বক্ষব্যাধি ১৬ দশমিক ২ শতাংশ, হৃদরোগ ১১ দশমিক ৮ শতাংশ, কিডনিজনিত রোগ ১৩ দশমিক ২ শতাংশ, নিউরোলজিক্যাল রোগ ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, থাইরয়েডজনিত রোগ ২ দশমিক ৯ শতাংশ, বাতজনিত সমস্যা ১ দশমিক ৫ শতাংশ, রক্তজনিত রোগ ৫ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ক্যান্সারে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ রোগী ভুগছিলেন।
পূর্ববর্তী ৩৯তম সপ্তাহে ৮৮ জনের মধ্যে ডায়াবেটিস ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ, উচ্চরক্তচাপ ৬৭ শতাংশ, বক্ষব্যাধি ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ, হৃদরোগ ১৮ দশমিক ২ শতাংশ, কিডনিজনিত রোগ ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ, স্ট্রোক ৫ দশমিক ৭ শতাংশ, নিউরোলজিক্যাল রোগ ২ দশমিক ৩ শতাংশ, থাইরয়েডজনিত রোগ ২ দশমিক ৩ শতাংশ, বাতজনিত সমস্যা ১ দশমিক ১ শতাংশ, রক্তজনিত রোগ ১ দশমিক ১ শতাংশ এবং ক্যান্সারে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ রোগী ভুগছিলেন।
এমইউ/এমএইচআর/জিকেএস