করোনায় আরও সাতজনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩০৫
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৮৫৪ জনে।
সাতজনের মধ্যে চারজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের সবাই সরকারি হাসপাতালে মারা যান। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩০৫ জন। ফলে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬৯ হাজার ১৬২ জনে। এর আগের দিন (২৮ অক্টোবর) করোনায় ছয়জনের মৃত্যু হয় ও সংক্রমিত হন ২৯৪ জন।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি-বেসরকারি ৮৩৩টি ল্যাবরেটরিতে ১৭ হাজার ৮১১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তে এক কোটি তিন লাখ ১৯ হাজার ৪০৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হলো।
নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ৭১ শতাংশ। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। আজ পর্যন্ত সর্বমোট নমুনা পরীক্ষার ভিত্তিতে শনাক্তকৃত রোগীর হার ১৫ দশমিক ২১ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৭১ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৩২ হাজার ৯৬৬ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মৃত সাতজনের মধ্যে দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব একজন, ষাটোর্ধ্ব একজন ও ১০০ বছরের বেশি বয়সের একজন রয়েছেন।
সাতজনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে তিনজন, চট্টগ্রামে একজন, রাজশাহীতে একজন, খুলনায় একজন ও বরিশাল বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
এমইউ/এআরএ/এমএস